Advertisement
Advertisement

ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে বধূমৃত্যুর অভিযোগ, সংকটে নবজাতকও

এবার কাঠগড়ায় শ্যামবাজারের এক নার্সিংহোম।

Women dies in Kolkata Nursing Home, relatives allege negligence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 19, 2018 3:09 am
  • Updated:January 19, 2018 3:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই ডোজের অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়েছিল। সন্তান জন্ম হওয়ার পর আর তাই জ্ঞান ফিরল না বধূর। বরং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল শ্যামবাজারের কালাচাঁদ সান্যাল রোডের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। আমরির ঘটনার মধ্যে ফের উসকে দিল চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ।

[মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমরির বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিলে ঐত্রীর পরিবার]

Advertisement

নির্ণয় নার্সিংহোম। এখানেই গত মঙ্গলবার দুপুরে ভরতি করা হয় বছর চব্বিশের নিকিতা গুপ্তাকে। নিকিতার বাপেরবাড়ি শ্যামবাজার এভি স্কুলের কাছে। শ্বশুরবাড়ি চিড়িয়ামোড়ের কাছে খগেন্দ্র চ্যাটার্জি রোডে। ওই বধূর কাকা সঞ্জয় প্রসাদ জানান, বুধবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ নিকিতা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু অপারেশনের পর তাঁর আর জ্ঞান ফেরেনি। নার্সিংহোম থেকে বলা হয় নিকিতাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত বসে থেকে রোগীর পরিজনরা বাড়ি ফিরে যান। পরের দিন সকাল এগোরাটা নাগাদ নিকিতার বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন একটি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিকিতাকে নিয়ে হাসপাতালে ঢুকছেন নার্সিংহোমের কর্মীরা। যা দেখে চমকে যান সকলে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, সন্তান প্রসবের সময় নিকিতার সেরব্রাল অ্যাটাক হয়। তাই সিটি স্ক্যান করাতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুপুরের দিকে ওই বধূ মারা যান। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিকিতার বাবা শ্যামপুকুর থানার দ্বারস্থ হন। থানায় ডাক্তার ফাল্গুনি পাল ও তাঁর সহযোগী অ্যানেস্থেটিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, হাই ডোজের অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়াতেই নিকিতার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

[ঐত্রীর পরিবারকে শাসানি, আমরির ইউনিট হেড জয়ন্তীকে আজই থানায় তলবের সম্ভাবনা]

তবে এই বিষয়ে অবশ্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষর থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শুধু জানা গিয়েছে নিকিতার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষর নীরবতা প্রশ্ন তুলেছে। চিকিৎসার গাফিলতিতেই যে নিকিতার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত স্বামী অমরদীপ গুপ্তা। নিকিতার সন্তানকে অন্য একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে নবজাতকের মাথায় স্ক্র্যাচ রয়েছে। অপটু হাতে অস্ত্রোপচার করলে এমন স্ক্র্যাচ আসে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কি অপটু বা কোনও শিক্ষানবিশ কাউকে দিয়ে ডাক্তার অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। প্রভাসবাবুর আক্ষেপ ডাক্তারদের গাফিলতিতে মেয়ে বাচ্চার মুখ দেখতে পারল না। জেনে যেতে  পারল না, ছেলে না মেয়ে হয়েছে তাঁর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ