সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের আনন্দে মুহূর্তে পরিণত হল বিষাদে। বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল সঞ্জীব দাস নামে এক যুবকের। হাইটেনশন লাইনে ঘুড়ির তার জড়িয়ে যায়। এর জেরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সঞ্জীব। তাঁর মেয়ে এবং ভাগ্নেও তড়িদাহত হয়েছে। দু’জনের অবস্থা গুরুতর। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ সোনারপুরের পূর্বপল্লি এলাকা।
[হানিপ্রীতের পর এবার উধাও বিপাসনা, কী চলছে ডেরার অন্দরে?]
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন সঞ্জীব। পুজোর দিনে ঘুড়ি ওড়ানো তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। এর জন্য রীতিমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তিনি। অন্যের ঘুড়ির ভোকাট্টা করতে সুতোয় জমিয়ে লোহাচুরের মাঞ্জা দিয়েছিলেন ওই যুবক। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলে দুই বন্ধু। পরিষ্কার আকাশ থাকায় সঞ্জীব জমিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন। আচমকা তাঁর ঘুড়িটি বাড়ি লাগোয়া এলাকায় হাইটেনশন লাইনে জড়িয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা জানান ঘুড়িটি জড়িয়ে যাওয়ার পর বিকট আওয়াজ শুনতে পান তারা। এই সময় লাটাই ছিল সঞ্জীবের হাতে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তিনি ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। তার এই অবস্থা দেখে বাঁচাতে গিয়ে বিপদে পড়ে দুই বন্ধু। তারাও তড়িদাহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। তাঁর দুই বন্ধু এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
[সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আলোচনা নয়, ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের]
হাসি-খুশি ওই যুবকের অপমৃত্যুতে হতবাক তাঁর পরিজনেরা। তাদের অনুমান, সুতোয় লোহাচুর মেশানো থাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অন্যের ঘুড়ি কাটতে গিয়ে জীবন থেকেই সঞ্জীব একেবারে যে ভোকাট্টা হয়ে যাবে, তা কোনওভাবে মানতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।