Advertisement
Advertisement

বামেদের ব্রিগেডে প্রধান বক্তা কে? সভার কয়েক ঘণ্টা আগেও চলছে জল্পনা

উঠে আসছে কানহাইয়া কুমারের নাম।

Youth stabbed on Kolkata road
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 3, 2019 9:00 am
  • Updated:February 3, 2019 9:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিগেডের মূল বক্তা কে? কার বক্তব্য শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকবেন বামকর্মীরা? এমন প্রশ্ন ক’দিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে বামকর্মীদের মধ্যে। পোস্টার, ফেস্টুন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলেও বিশেষ বক্তা কে? তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি আলিমুদ্দিনের নেতারা। শনিবার ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শুধু বলেছেন, “এবারের সমাবেশে অতিথি বক্তা সিপিআইএমএল (লিবারেশন) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। কিন্তু শেষ বক্তা কে তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালের বামফ্রন্টের শেষ ব্রিগেড সমাবেশ হয়।  মুখ্য বক্তা ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপরের বছরই পর পর দু’টি ব্রিগেড সমাবেশ করে সিপিএম। ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ও ৮ মার্চ পার্টি  প্লেনাম উপলক্ষে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। মূল বক্তা সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বস্তুত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বক্তব্য শুনতেই গ্রাম-শহরের সিপিএম ও বাম কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন। ঘটনা হল এরপর একক উদ্যোগ কেন? ফ্রন্টগত ভাবেও বামেরা কোনও ব্রিগেড সমাবেশ করেনি। এই অবস্থায় আজ রবিবার বামেদের কাছে ব্রিগেড সমাবেশ অনেকটাই চ্যালেঞ্জ। কারণ এখন বামেদের মধ্যে তেমন বক্তা আর কেউ নেই। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ। অসুস্থ গৌতম দেবও। তাই তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। অবস্থা সামাল দিতে শরিক সিপিআইয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারকে বক্তা করেছে বামেরা। কিন্তু ঘটনা হল কানহাইয়া কুমার সুবক্তা হলেও বাংলায় বলেন না। তাই শিক্ষিত, শহুরে বাম কর্মীরা তাঁর কথা শুনতে আগ্রহী হলেও গ্রামের মানুষ কতটা তাঁর কথা শুনতে আগ্রহী হবেন তা নিয়ে সংশয় সিপিআইয়ের মধ্যেই।

Advertisement

বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ, বুদ্ধর বার্তায় চনমনে কর্মীরা ভিড় জমাচ্ছেন শহরে ]

Advertisement

নিয়ম মেনে আজ রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সি সুধাকর রেড্ডি, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দেবব্রত বিশ্বাস ও আরএসপির ক্ষিতি গোস্বামী। এইসব প্রবীণ বাম নেতা রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হলেও সুবক্তা হিসাবে কোনওকালেই তেমন পরিচিতি পাননি। কারণ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সংগঠক হিসাবে গত কয়েক বছরে পার্টির অভ্যন্তরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারলেও ভাল বক্তা হিসাবে পরিচিত লাভ করতে পারেননি। অন্যদিকে গৌতম দেবও অসুস্থ। এই অবস্থায় বক্তা হিসাবে পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের উপরই ভরসা করছে আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। শরিক দলের একাধিক নেতা বলেছেন, ব্রিগেডের সমাবেশ থেকেই বক্তা হিসাবে মহম্মদ সেলিমকে তুলে ধরবে সিপিএম। তাই আজ ব্রিগেডের শেষ বক্তা হিসাবে মহম্মদ সেলিমকেই মঞ্চে হাজির করা হবে। এখন দেখার লোকসভার আগে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হয়। কারণ সিপিএমের যুক্তি, ইতিমধ্যেই লোকসভায় সুবক্তা হিসাবে পরিচিত মুখ সেলিম। তাই লোকসভা ভোটেও মূল বক্তা হিসাবে তুলে ধরা হবে মহম্মদ সেলিমকে।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক জেএমবি জঙ্গি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ