সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তথ্য চুরির আরও বড়সড় অভিযোগ উঠল বিশ্বের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের বিরুদ্ধে৷ এবং তা স্বীকারও করে নিল সংস্থাটি৷ টেক ক্রাঞ্চ নামে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৪১ কোটি ৯০ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর৷ যা একপ্রকার স্বীকারও করে নিয়েছে ফেসবুক৷
[ আরও পড়ুন: হিন্দুবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শিব সেনা নেতার ]
জানা গিয়েছে, ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে এমন প্রায় ৪২ লক্ষ ব্যবহারকারীর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার ১৩ কোটি ৩০ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারী৷ ব্রিটেনের ১ কোটি ৮০ লক্ষ এবং ভিয়েতনামের ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী। বাকি ২১ কোটি ৮০ লক্ষ অন্যান্য দেশের। এই ফোন নম্বর ফাঁস হওয়ার কারণও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি৷ বলা হয়েছে, যে সার্ভারে গ্রাহকদের ফোন মজুত করে রাখে ফেসবুক সংস্থা৷ সেই সার্ভারটি সুরক্ষিত নয়৷ সার্ভারটির পাসওয়ার্ড শক্তপোক্ত নয়৷ ফলে সেটি সহজেই হ্যাক করা যায়৷ এ বিষয়ে ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানান, ওই ডেটাবেসে একই নম্বর একাধিকবার রয়েছে৷ তাই নম্বরের সংখ্যা অনেক বেশি মনে হচ্ছে। তবে অনুমান, ২০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অনুমান করা হচ্ছে৷। সংস্থার দাবি, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলি বহু পুরনো। যখন ফোন নম্বর দিয়ে আইডি খোঁজার ফিচার ফেসবুকে অন্তর্ভুক্ত ছিল, ফোন নম্বরগুলি তখনকার বলেই দাবি সংস্থার৷ যে ফিচারটি গত বছর থেকে বাতিল করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷ তাদের আশঙ্কা, ওই ফিচারকে কাজে লাগিয়েই সম্ভবত ফোন নম্বরগুলিকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে৷ সংস্থার আরও দাবি, ২০১৮-র মার্চ মাসে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরেই এপ্রিল মাসে ওই সার্চ ফিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়৷
[ আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে সেরার শিরোপা পেল এই পাঁচ অ্যাপ, নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন ]
প্রসঙ্গত, ২০১৮-তে ফেসবুক থেকে বেআইনিভাবে তথ্য হাতানোর অভিযোগ ওঠে উপদেষ্টা সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে। জানা যায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার কমিটি, দল, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বিশ্লেষণ করে কাজে লাগায় ওই সংস্থা৷ মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে রিপাবলিক প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্পের প্রচারে সাহায্য করেছিল উপদেষ্টা সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। অভিযোগ, ফেসবুক গ্রাহকের তথ্য ব্যবহার করে সম্ভাব্য ভোটারদের প্রভাবিত করেছিল সংস্থাটি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেআইনিভাবে সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এমনকী, ২০১৬- ‘ব্রেক্সিট’-এও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ।