সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বায়ুদূষণ শুধু শ্বাসকষ্টের কারণ হয়, এমন ভাববেন না। এই দূষণের সঙ্গেই অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের একটা যোগসূত্র রয়েছে। এমনটাই দাবি গবেষকদের। তাই কিশোরী মেয়েকে বাড়ির বাইরে পাঠানোর আগে দূষণরোধী মাস্ক দিতে ভুলবেন না। এক একটি ধূলিকণাও আপনার মেয়ের অনিয়মিত ঋতুচক্রের জন্য দায়ী হতে পারে।
[শৈশবের স্থূলতাই বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের সম্ভাবনা]
ম্যাসাচুসেটসের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্ধ্যত্ব থেকে শুরু করে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, মেটাবলিক সিনড্রোমের পিছনে বায়ুদূষণের কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। মূলত ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যেই দূষণের কুপ্রভাব সবথেকে বেশি পড়ে। তারপরেই অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যা একটানা দীর্ঘদিন চলে। দূষণের প্রভাবে ফুসফুস যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় একইভাবে প্রজননেও অনে সমস্যা দেখা দেয়। ঋতুঃস্রাবের সূত্রেই এই ধরণের সমস্যা বাসা বাঁধে। দূষণ মানবদেহের প্রয়োজনীয় হরমোনের গতিবিধি হ্রাস করে দেয়। হরমোন প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যহত হলেই নানা রকম রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা যায়। যার এক নম্বরে রয়েছে অনিয়মিত ঋতুঃস্রাব। দূষণ যে এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে নিশ্চিত গবেষকরা।
ঋতুঃস্রাব চলাকালীন সময়ে কিশোরীরা সাধারণত পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সেইজন্য বাড়ির বাইরে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। এই সময় স্বাস্থ্য সচেতনতাও সেভাবে গড়ে ওঠে না। তাই প্রতিদিনের বেড়ে চলা বায়ুদূষণ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার অভ্যাসটাও থাকে না। ফলে ধূলিকণা থেকে প্রবাহিত জিবাণু খুব সহজেই শরীরে প্রবেশ করে। বয়ঃসন্ধির চলমান হরমোন প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়। ফলস্বরূপ ঋতুঃস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে।যার জেরে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের সূত্রেই প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। বন্ধ্যত্বের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। কিশোরীর মাসিক ঋতুচক্রের অনিময়মের সঙ্গে তাই দূষণ পরিস্থিতির একটা যোগাযোগ রয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ তো আর ব্যক্তি মানুষের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বাড়ির কিশোরী মেয়েটির দিকে খেয়াল রাখুন। দূষণ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিন। গোটা বিষয়টি তাকে খোলাখুলি জানালে সেও নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হবে। এভাবেই রোধ করা যাবে ভবিষ্যতের সমস্যাকে।