দিল্লি রোডের উপর যাত্রীবোঝাই টোটোকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে লরি। নিজস্ব চিত্র।
সুমন করাতি, হুগলি: ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হুগলির শ্রীরামপুরে দিল্লি রোডের উপর যাত্রীবোঝাই টোটোকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটো চালক-সহ চারজনের। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, লক্ষ্মী সিংহ (৪০), বড় মেয়ে ঋতিকা সিংহ (১৬) এবং ছোট মেয়ে নিধি সিংহকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় একমাত্র প্রাণে বেঁচেছে নিধি। ৯ বছরের নিধিকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। প্রাণ বাঁচেনি টোটো চালক শেখ হাসমত আলিও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যাত্রী নিয়ে দিল্লি রোড ধরে শ্রীরামপুরের দিক থেকে কোন্নগরের দিকে যাচ্ছিল একটি টোটো। শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে। ধাক্কা সামলাতে না পেরে টোটোটি সামনে থাকা অন্য একটি লরিতে ধাক্কা মারে। দুই লরির চাপে পিষে যায় মধ্যে থাকা টোটো। জানা গিয়েছে, বাবা, মা ও দিদির সঙ্গে কোন্নগর যাচ্ছিল নিধি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চন্দননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি, দিল্লি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত মহাসড়কে পুলিশি নজরদারি কম। সেই সুযোগেই রমরমিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেপরোয়া যান চলাচল। চন্দননগর পুলিশের শ্রীরামপুরের ডিসি অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন, আগেও এই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। চন্দননগর পুলিশের এডিসিপি (ট্রাফিক) দেবাশিস সরকার জানান, পুলিশ দিল্লি রোডে যান চলাচলের উপর আরও বেশি করে নজর রাখা হবে। দিল্লি রোড চার লেনের হওয়ার পর তাতে ধীর গতির যান অর্থাৎ রিকশা, টোটো, সাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টোটোচালকরা তার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এর ফলে পরবর্তী কালে আবার যে কে সেই হয়ে যায় পরিস্থিতি। ব্যস্ত রাস্তায় ধীর গতির যান চলাচল বন্ধ করা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, তারই মাশুল গুনলেন টোটোর যাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.