সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক টুকরো চকোলেট, সত্যি বলতে কী, এক এক রকমের প্রভাব ফেলে এক একজনের উপরে!
যেমন ধরুন বাচ্চারা! তাদের কাছে নির্ভেজাল আনন্দের অন্য নাম চকোলেট। বয়স্কদের মধ্যে আবার কখনও তা এনার্জি বারের পরিপূরক, কখনও বা শুধুই সুস্বাদে ডুব দেওয়া।
এর বাইরেও রয়েছে আরেক দল! তাঁদের কাছে চকোলেট মানে অনেকটাই বিবেক দংশন! ক্রমাগত অপরাধবোধে ভুগতে থাকা- ”এই যে চকোলেটটা লোভে পড়ে খেলাম, এবার দেখতে দেখতে হু-হু করে ওজন বেড়ে যাবে!”
এই দ্বিতীয় দলকে আর ভয়ে দিন গুনতে হবে না। বিজ্ঞানীরা পথ বের করে ফেলেছেন। তাঁদের হাতযশে চকোলেট হয়ে উঠেছে ফ্যাট-ফ্রি!
কী ভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা?
তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে!
ইউএস-এর টেম্পল ইউনিভার্সিটির এক দল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁরা চকোলেটকে ফ্যাট-ফ্রি করার উপায় বের করে ফেলেছেন। গলা চকোলেটের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রোরিওলজি পদ্ধতিতে তড়িৎ চুম্বকীয় স্রোত বইয়ে দিলেই কাজ হাসিল হবে। চকোলেট হয়ে উঠবে ফ্যাট-ফ্রি! পাশাপাশি, তার ঘনত্বও বাড়বে, চকোলেট সুস্বাদু হবে আগের চেয়েও বেশি!
ভাল খবর, সন্দেহ নেই! এই সময়টাই তো সব কিছু থেকে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলে নির্বিকার থাকার! সেই মেদ ছেঁটে ফেলার তালিকায় যদি সত্যিই চকোলেট নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারে, তবে তার বিক্রি বাড়বে বলেই বিজ্ঞানীদের আশা।
তবে এই ফ্যাট-ফ্রি চকোলেট হাতে পাওয়ার জন্য কত দিন অপেক্ষা করতে হবে, তা এখনও জানা যায়নি!