সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পর নবদম্পতির কাছে যে কোনও অনুষ্ঠানই স্পেশ্যাল। তা সে দুর্গাপুজো হোক কিংবা দিওয়ালি। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মজাই আলাদা। আর উৎসবের দিনে মনোমালিন্য দূরে ঠেলে আনন্দে গা ভাসালে মন-মেজাজ দুই-ই ভাল থাকে। তাই এই দিওয়ালিতে একসঙ্গে এই কাজগুলি আপনি ও আপনার বেটারহাফ করতেই পারেন।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান:
বিয়ে মানে তো শুধু দুটি মানুষের নয়, দুটি পরিবারের মধ্যেও নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠা। তাই পরিবারের লোকজনও এমন উৎসবের দিনে বেশ খানিকটা সময় আপনাদের সঙ্গে কাটাতে চান। বর্তমানে কাজের চাপে অনেক নবদম্পতি পরিবারকে সেভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। তাই দিওয়ালির মতো ছুটির দিনে তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে, মন্দ হবে না।
উপহার:
স্ত্রীরা স্বামীর জন্য কিংবা স্বামী তাঁর জীবনসঙ্গীর জন্য দিওয়ালি উপলক্ষে নিশ্চয়ই কিছু কিনবেন। বিয়ের পর প্রথম দিওয়ালিতে অন্তত পরস্পরের থেকে এমন আশা করাই যায়। এতে উৎসবের রং যে দ্বিগুণ হয়ে উঠবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। আরও ভাল হয় যদি বাড়ির বাকি সদস্যদেরও একসঙ্গে কোনও উপহার দেন। ছোটদের হাতে রংবেরঙের মোতবাতি বা তারাবাজি আর বড়দের হাতে মিষ্টির হাঁড়িও তাঁদের মন জয় করার জন্য যথেষ্ট। পরিবারের লোকজনদের যেন কখনওই মনে না হয়, বিয়ের পর আপনি পালটে গিয়েছেন।
মনে রাখার মতো উপহার:
বিয়ের পর প্রথম দিওয়ালি বলে কথা। বাকিদের যে উপহারই দিন না কেন, স্পেশ্যাল মানুষটির জন্য কিন্তু উপহারটিও স্পেশ্যাল হওয়া চাই। তাঁকে এমন কিছু দিতে পারেন, যাতে সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। যা সারা জীবন তাঁর মনে থেকে যায়। আর উপহারটি যদি কোনও দুর্দান্ত অ্যাম্বিয়েন্সের মধ্যে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই।
খাওয়া-দাওয়া:
পার্টনারকে নিয়ে কোনও ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের কথা ভাবতেই পারেন। তবে সে ভাবনা নাহয় অন্য কোনও দিনের জন্য তুলে রাখুন। দিওয়ালির দিনটায় বরং বাড়িকেই করে তুলুন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের লোকজনকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছোটখাটো একটি পার্টির আয়োজন করতেই পারেন। আলোর রোশনাইয়ে বাড়িকে সাজিয়ে তুলুন। আর সেখানেই গল্পে-খাওয়া-দাওয়ায় জমে উঠুক দিওয়ালির সন্ধেটা।
[বাজিতে পুড়ে গিয়েছে? জেনে নিন কী করবেন]
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস:
বিয়ের পর পালটে গিয়েছে পরিচয়। এখন আর আপনি একা নন, আপনার পাশে জুড়ে গিয়েছে আরেকজনের নামও। ঘরোয়া কোনও আমন্ত্রণে নিশ্চয়ই একসঙ্গে যেতে অভ্যস্ত। তাই দিওয়ালির শুভেচ্ছাটাও জানান একসঙ্গে। ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপেই দীপাবলির প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানানোর ট্রেন্ড চলছে। সেক্ষেত্রে কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে হলে মেসেজের শেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস লিখতে ভুলবেন না। এতেই লুকিয়ে আপনাদের সুখী দাম্পত্যের রসায়ন। ভেবে দেখতে পারেন কিন্তু।