সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকের একটা খুব সাধারণ প্রশ্ন থাকে। ওয়্যাক্সিং নাকি শেভিং? ত্বকের জন্য কোনটি ভাল? সোজা কথায় বলতে গেলে, দু’টোরই খারাপ-ভাল দু’টো দিক রয়েছে। তবে পুরোটাই ত্বক ও রোমের ধরন বুঝে। যদি আপনার ত্বক সেনসেটিভ হয়, তাহলে রেজর ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু শুধু এটুকু থেকেই যদি আপনি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ভুল করবেন।
শেভিংয়ের সুবিধা
এতে ব্যথা কম হয়। সেদিক থেকে শেভিং করা সুবিধাজনক। দু’ভাবে শেভিং করা যেতে পারে। সাধারণ রেজার দিয়ে আর ইলেকট্রিক রেজার দিয়ে। ওয়্যাক্সিংয়ের থেকে এতে খরচ কম হয়। সময়ও কম লাগে। তাই যদি আপনার পার্লারে যাওয়ার সময় না থাকে, তাহলে বাড়িতেই রেজার দিয়ে শেভিং করে নিতে পারেন।
[ সুগন্ধীতে নষ্ট হচ্ছে নতুন পোশাক? রইল সমাধানের উপায় ]
শেভিংয়ের অসুবিধা
এতে কিন্তু আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মাঝে মাঝে চুলকানিও দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন কম শেভিং করতে। তার বদলে ওয়্যাক্সিং করলে ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনা কমে। শেভিংয়ের প্রভাব কিন্তু রোমের বৃদ্ধির উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া ত্বকে কালো দাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। বারবার শেভিং করলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। সেই সঙ্গে রোম মোটা হতে থাকে।
টিপস
নিতান্তই যদি রেজার ব্যবহার করতে হয়, তাহলে এর পরেই ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করুন। একই রেজার খুব বেশি হলে দু’বার ব্যবহার করুন। তার বেশি নয়।
ওয়্যাক্সিংয়ের সুবিধা
ওয়্যাক্সিং করলে গোড়া থেকে রোম উঠে আসে। ফলে কয়েক সপ্তাহ ত্বক থাকে রোমহীন। এছাড়া ত্বককে নরম রাখতেও সাহায্যে করে ওয়্যাক্সিং। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। ফলে ত্বকে ক্ষতির কোনও সম্ভাবনাই নেই।
ওয়্যাক্সিংয়ের অসুবিধা
এতে ব্যথা লাগে যথেষ্ট। বারবার ওয়্যাক্সিং করলে ত্বকের নমনীয়তা কমে যেতে পারে। অনেকসময় ওয়্যাক্সিং করলে ব়্যাশ দেখা দেয়। ত্বক অতিরিক্ত সেনসেটিভ হলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তবে রোম খুব হালকা হলে ওয়্যাক্সিং বিশেষ সাহায্য করতে পারে না। সবসময় চেষ্টা করুন পার্লারে গিয়ে ওয়্যাক্সিং করার। বাজার চলতি ওয়্যাক্স স্ট্রিপস ব্যবহার করবেন না।
টিপস
দেখে নিন পার্লারে যেন অব্যবহৃত ওয়্যাক্সিং স্ট্রিপস ব্যবহার করা হয়। ওয়্যাক্সিংযের পর বরফ বা কুলিং প্যাড দিয়ে সেকে নিন। এটি ত্বকের পক্ষে উপকারী।
[ মেক-আপেই ধরে রাখুন যৌবন, থাকুন কমবয়সি ]