সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরম পড়তে না পড়তেই হাসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। শরীরকে সুস্থ রাখতে ফলের রস, ত্বকচর্চা কিছুই বাদ পড়ছে না। তারপরেও গরমের জ্বলুনি থেকে রেহাই নেই। শীত কমতেই স্লিভলেস পোশাক, হট প্যান্ট পরতেই মন আনন্দে ভরে ওঠে। একটু স্টাইল করেছেন কি করেননি অমনি দেখলেন শরীরের উন্মুক্ত স্থানগুলি জ্বলতে শুরু করেছে। হাত, পায়ের জ্বলুনি কমাতে তখন টোটকার শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই। পরিস্থিতি বেশি মাত্রায় খারাপ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। তাই রোদ্দুরে বেরনোর আগে ত্বককে ঠান্ডা রাখবেন কীভাবে তা ভেবে নিন। নাহলে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরার পরে পড়তে পারেন বিপদে।
[আপনার এই কথাগুলি সন্তানের মনে কী প্রভাব ফেলছে জানেন?]
গরমে সুইমিংপুলকেই সব থেকে প্রিয় বলে মনে হয়। চাঁদি ফাটা গরমে স্বচ্ছ জল দেখলেই মনে হয় জলে নেমে শরীর ঠান্ডা করার। কিন্তু যতটা না ঠান্ডা হওয়া যায় তার থেকে বেশি উপদ্রব এসে জোটে। রোদ্দুরের মধ্যে জলে নেমে গা ভাসানো। আর বরুণ দেব তাঁর অকৃপণ দান থেকে আপনাকে বঞ্চিত করতে পারে? পারে নাই তো। রোদ্দুরের তাপে জলে থেকেও জ্বলুনি শুরু হতে পারে। তাই হাতের কাছে রাখুন মুলতানি মাটি। ত্বকে জ্বলুনি শুরু হলে কয়েক ফোঁটা করে লেবুর রস ও গোলাপ জল নিন। এরপর মুলতানি মাটির সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। রোদ্দুরে পুড়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষণ। খানিকটা সময় কাটার পর আপনা থেকেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। মাটির প্রলেপে মোড়া ত্বক কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে। জ্বলুনি অনেকটাই কমে গিয়ে ততক্ষণে নির্ভার লাগছে শরীর।
রোদ্দুরে জলে নেমে সাঁতার দিলে সাময়িক আরামের সঙ্গে রোগব্যাধিও চলে আসতে পারে। সুইমিং পুলের জল প্রাকৃতিক উপায়ে আসে না। সেই জলে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরিন, আয়োডিন থাকে। স্পর্শকাতর ত্বক তাই সুইমিংপুলের জলের সংস্পর্শে আসলেই বিপদ। ব়্যাশ থেকে শুরু করে ব্রণ, এমনকী, লাল লাল ছোপও দেখা দিতে পারে ত্বকে। অনেকটা সময় সুইমিংপুলে কাটিয়ে ঠান্ডা হওয়ার পর আচমকাই দেখলেন এই উপসর্গের কোনও একটি বা সব কটাই আপনাকে ঘিরে ফেলেছে। তখন মন খারাপ তো হবেই। তবে ভয় পাবেন না। উপসর্গ যখন আছে, তখন সেই উপসর্গ থেকে বেরনোর উপায়ও আপনার কাছেই আছে। শুধু জানেন না, এই যা। রান্নাঘর থেকে কিছুটা দারুচিনি পাউডার নিন। তার সঙ্গে মধু আর অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে ব়্যাশ, ব্রণ, লাল ছোপের উপরে লাগান। দেখবেন, ধীরে ধীরে জ্বলুনি কমে আসছে। একটা সময় ব্রণর উপস্থিতিও চোখে পড়বে না। কোথায় যে লাল চোপ ছিল, তাও খুঁজে পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে এই মিশ্রন গায়ে লাগিয়ে ত্বকের ময়শ্চারের মাত্রাও স্বাভাবিক হয়েছে।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে হলুদের কোনও জুড়ি নেই। সমস্তরকম সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে হলুদের ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ বেটে গায়ে লাগালে যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। তেমনই গরমে নানারকম সংক্রমণের কারণে জ্বাল য্ন্ত্রণা হতে পারে। সেই বিপদ থেকে রেহাই পেতে কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিমপাতা বেটে নিন। সংক্রামিত অংশে লাগান। এই মিশ্রন তৈরি করে এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন। নিয়মিত কয়েক ফোটা গোলাপজলের সঙ্গে মুখে লাগালে ব্রণর জ্বলুনি থেকে মিলতে পারে স্বস্তি।