সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স যে নম্বর ছাড়া আর কিছুই নয়, এই আপ্তবাক্যটিকে আরও একবার প্রমাণ করলেন কর্ণাটকের এক বৃদ্ধা। সকলকে চমকে দিয়ে খাওয়াদাওয়ার প্রতিযোগিতায় মাত্র এক মিনিট ছ’টি ইডলি খেয়ে ফেললেন বৃদ্ধা। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জেনওয়াই যখন খাওয়াদাওয়া করতেই চায় না, তখন সরোজাম্মার এমন অভিনব রেকর্ডে চোখ কপালে উঠছে প্রায় সকলের।
[আরও পড়ুন: হার্বাল টি’র দাপটে কোণঠাসা সবুজ পাতা, সুদিন ফেরানোর উদ্যোগ টি বোর্ডের]
কর্ণাটকের মাইসোরে ঘটা করে পালিত হচ্ছে দশেরা। সেই উপলক্ষে চতুর্দিকে আরাধনার পাশাপাশি চলছে নানা অনুষ্ঠান। নানা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানও নতুন কিছুই নয়। সেখানেই একদিন ইডলি খাওয়ার প্রতিযোগিতা করা হয়। তাতেই অংশ নেন বছর ষাটের সরোজাম্মা। আরও অনেক মহিলা প্রতিযোগী ছিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রতিযোগিতায় নাম দেন ওই বৃদ্ধা। ইডলি খাওয়ার প্রতিযোগিতার সারিতে বসে পড়েন তিনি। সকলের সামনে রাখা থালায় ইডলি এবং সম্বর দেওয়া হয়।
বেজে ওঠে বাঁশি। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে আর পাঁচজনের মতো খেতে শুরু করেন ওই বৃদ্ধা। আর পাঁচজন যখন কোনওক্রমে ছ’টি ইডলি খেতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন ওই বৃদ্ধা সকলকে চমকে দিলেন। মাত্র এক মিনিটেই ছ’টি ইডলি খেয়ে ফেলেন তিনি।
[showad block=2]
[আরও পড়ুন: পুজোর শপিংয়ের মাঝে এক কাপ ‘তন্দুরি চা’ হয়ে যাক, জানেন কোথায় পাবেন?]
এক নিঃশ্বাসে ইডলি খেয়ে ফেলা দেখে প্রায় চমকে ওঠে প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। বিজয়ী যে ওই বৃদ্ধাই হয়েছেন তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে তা সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। জয়ের হাসি হাসেন ওই বৃদ্ধা। বিজয়ী হয়ে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে তাঁর। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে বেজায় খুশি বৃদ্ধা। উদ্যোক্তাদের দাবি, এত অল্পবয়সিদের মাঝখানে যে ওই বৃদ্ধা পুরস্কার ছিনিয়ে নেবেন, তা আগেও বুঝতে পারেননি অন্যান্যরা। তবে ওই বৃদ্ধা জয়ের পর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সময়ই জানতাম আমি পুরস্কার পাবই। প্রতিযোগিতায় জিতে দারুণ লাগছে।”