সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক ভাই-বোন ছাড়া বোধহয় আর কারও নয়। আর মঙ্গলবার সেই সম্পর্ক উদযাপনের দিন। ভাইফোঁটার দিন তাই তো প্রত্যেক দিদি বা বোন চান তাঁর দাদা বা ভাইয়ের কাছে সেরা জিনিসটি পৌঁছে দেওয়ার। তা সে উপহার হোক কিংবা খাওয়াদাওয়া। তাই তো মিষ্টি-মাংস কিনতে দোকানে দোকানে লম্বা লাইন। কিন্তু আপনি কি একটু ব্যতিক্রমী। মানে বাড়িতে বেশি রান্নাবান্নার ঝামেলা চান না? রেস্তরাঁয় নিয়ে গিয়ে ভাই বা দাদাকে খাওয়ানোর চিন্তা করছেন? তবে আপনার জন্য রইল এক্কেবারে অন্যরকম এক রেস্তরাঁর খোঁজ। যেখানে নিয়ে গেলে আপনার প্রিয় দাদা বা ভাই যে অবাক হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্টারনেটের যুগে রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। ভালমন্দ খেতে ইচ্ছা করলেই, এখন বেশিরভাগ মানুষ ভিড় জমান রেস্তরাঁয়। কিন্তু ভাইফোঁটার দিনটিকে তো আর পাঁচটা দিনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তাই ওইদিন যা হবে তার মধ্যে কিছু না কিছু বিশেষত্ব থাকতেই হবে। তাই ভাই বা দাদাকে চমক দিতে ভিড় জমান ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্তরাঁয়। নয়ডার সেক্টর ৩৮-এর এই রেস্তরাঁয় কিন্তু হেঁটে ঢোকা যায় না। কারণ বিশেষত্ব হল এই রেস্তরাঁ মাটি থেকে প্রায় ১৬০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এই রেস্তরাঁয় ক্রেনের সাহায্যে ঝুলছে ২৪টি আসন বিশিষ্ট একটি টেবিল। তার আশেপাশে চেয়ার বসে জমিয়ে পেটপুজো করতে পারেন আপনি। টেবিলের মাঝের অংশেই চলাফেরা করছেন ওয়েটার এবং রেস্তরাঁর অন্যান্য কর্মীরা। খাওয়াদাওয়ার জন্য খাদ্যরসিকরা সময় পাবেন মোটামুটি ৪০ মিনিট। প্রতিদিনই সন্ধে ৬টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্তরাঁ। শুধুমাত্র গর্ভবতী এবং শিশুরা এই রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারেন না। নানা পদের খাবারের পাশাপাশি এই রেস্তরাঁয় বাড়তি পাওনা অ্যাডভেঞ্চার। মাটি থেকে উঁচুতে বসে খাওয়াদাওয়া করতে করতে অন্যরকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষীও হতে পারবেন আপনি।
এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে কে এমন অভিনব রেস্তরাঁ তৈরি করলেন। নিখিল কুমার নামে এক ব্যক্তি এই হোটেলের মালিক। তিনি দুবাইতে গিয়ে প্রথম এমন রেস্তরাঁ দেখেন। মনে মনে ঠিক করেন এ দেশেও এমন রেস্তরাঁ তৈরি করবেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। তিনি জার্মানির এক সংস্থাকে বরাত দিলেন। তাদের সাহায্যে নয়ডায় তৈরি হয়েছে এই রেস্তরাঁ।
[আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় রান্না থেকে পরিবেশন সবই করছে রোবট, জানেন কোথায়?]
জন্মদিনের জন্য প্রায়ই ঝুলন্ত রেস্তরাঁর টেবিল বুক করেছেন অনেকেই। ভাইফোঁটার দিনটিকে স্পেশ্যাল করে তোলার জন্য আপনি এখনই ঝুলন্ত রেস্তরাঁর টেবিল বুক করে নিন। এই বিশেষ উপহার আপনার প্রিয় ভাই বা দাদাকে যে অবাক করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।