সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পুজো শেষ। এবার মায়ের ফিরে যাওয়ার পালা। আর বিজয়া মানেই তো সিঁদুর খেলা আর মিষ্টিমুখ। আর সেই মিষ্টি যদি বাড়ির তৈরি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সেরকম ঘরে বানানো যায় এমন দু’ধরনের মিষ্টির রেসিপি জানালেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
ক্ষীরের মালপোয়া
ক্ষীরের মালপোয়া বানাতে লাগবে: খোয়াক্ষীর ১ ১/২ বাটি, ময়দা ১/৪ বাটি, সুজি ১ বাটি, নুন ১/২ চা চামচ, ভাঙা গোলমরিচ ১ চামচ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, মৌরি ২ চামচ, দুধ পরিমাণ মতো, জাফরান ২ চামচ, চিনির পাতলা রস ৩ বাটি, ঘি ১/২ বাটি, সাদা তেল- ভাজার জন্য।
[পুজোয় দেদার খেয়েও সুস্থ থাকবেন কী করে?]
এবার চিনির গরম রস নামিয়ে তাতে জাফরান ছড়িয়ে রাখুন। বাকি উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটা ব্যাটার বানাতে হবে। ব্যাটার দোসার ব্যাটারের থেকে পাতলা হবে। অনেকটা প্যানকেকের ব্যাটারের মতো হবে। এবার একটা নন-স্টিক তাওয়ায় সাদা তেল কিংবা ঘিয়ে মালপোয়া ভেজে তুলে রসে ফেলে রাখুন আধঘণ্টা। ব্যস, ক্ষীরের মালপোয়া রেডি।
ক্ষীর সুজির শাহী টুকরা
ক্ষীর সুজির শাহী টুকরা বানাতে লাগবে: খোয়াক্ষীর ৫০০ গ্রাম, সুজি ৩০০ গ্রাম, ছোট এলাচের গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, দুধ ৫০০ গ্রাম, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কাজু, কিশমিশ, পেস্তা ২৫০ গ্রাম, চিনি ৩৫০ গ্রাম, নুন ১/২ চা চামচ, জাফরান ১ চামচ, গোলাপজল ১ চামচ, কেওড়া জল ১ চামচ, জল আন্দাজমতো, ঘি ১১/২ কাপ।
[পুজোয় অন্য স্বাদ চাইছেন? ঢুঁ মারতে পারেন এই রেস্তরাঁগুলোয়]
এবার কড়াইয়ে সুজি ভেজে, তাতে একে একে ঘি, চিনি, খোয়াক্ষীর, দুধ, জল আর বাকি উপকরণ একে একে দিয়ে, ঘন হয়ে এলে, আলাদা একটা কড়াইয়ে আরও একটু ঘি গরম করে তাতে কাজু-কিশমিশ-পেস্তা ভেজে, সুজির মধ্যে দিয়ে ভাল করে ঘেঁটে দিতে হবে। এবার একটা কানা উঁচু পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে, একটু চেপে চেপে সমান করে উল্টে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে কেটে কেটে পরিবেশন করুন।