Advertisement
Advertisement

Breaking News

Fruit eating tips

অতি লোভে শরীর নষ্ট, সামলে খান আম-লিচু-কাঁঠাল, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা

মন চাইলেও নিজের শারীরিক চাহিদা বুঝে প্রিয় ফল খান।

Be aware before eating too much fruits like Mango, Lychee, Jackfruit | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 7, 2022 4:30 pm
  • Updated:June 7, 2022 4:30 pm

ফলের রাজা আম। মরশুমে না খেলে বড় মিস। তবে গুণের পাশাপাশি এই ফলের থেকে অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই শুধু আম কেন, এই সময়ের প্রিয় ফল লিচু, তালশাঁসও বুঝে মুখে তুলুন। সাবধান করলেন ডায়েটিশিয়ান শর্মিষ্ঠা রায় দত্ত। তাঁর কথা এই প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করলেন সোমা মজুমদার।

গরমকাল মানেই আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের মরশুম। গ্রীষ্মকালীন ফলের স্বাদ-গন্ধে এক আলাদাই চাহিদা রয়েছে। তবে আম, লিচু-সহ এই সময়ের একাধিক মরশুমি ফল সুস্বাদু হলেও ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি। কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে অনেক মেপে-বুঝে এই সব ফল খেতে হয়। তাই মন চাইলেও নিজের শারীরিক চাহিদা বুঝে গ্রীষ্মকালে ডায়েটে ফল রাখুন।

Advertisement

Summer Fruits

Advertisement

ক্যালোরি বুঝে খান –
যে কোনও ফলই (Fruits) ব্যক্তিবিশেষে ডায়েটের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে খাওয়া উচিত। কারণ সমস্ত রোগ আসলে স্থূলত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোলেস্টেরল বেশি থাকুক বা ডায়াবেটিস কিংবা রক্তচাপ, যে কোনও রোগেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই আম, কাঁঠাল বা লিচুর মতো বেশি ক্যালোরিযুক্ত ফল খেলে খাদ্যতালিকা থেকে খাবারের পরিমাণ অনেকটাই কমাতে হবে। পাশাপাশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে সেক্ষেত্রে বিস্কুট বা কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার চেয়ে মরশুমি ফল খাওয়া অপেক্ষাকৃত ভাল। এই ধরনের ফলে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ রয়েছে যা পরিমিত খাওয়াই যায়। সাধারণত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদিনের একটি আম বা বড় কোয়া দু’পিস কাঁঠাল কিংবা চার-পাঁচটা লিচু খাওয়া যেতেই পারে।

আমের (Mango) ভাল-মন্দ –
আমের মধ্যে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম থাকলেও গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম থাকে। সেজন্যই ডায়াবেটিস থাকলে খুব বেশি আম খেতে নিষেধ করা হয়। তবে আমের সঙ্গে কোন খাবারটি খাচ্ছেন তা দেখে নেওয়া জরুরি। যেমন আম দিয়ে পায়েস, সন্দেশ ইত্যাদি খাবার কিংবা দুপুরে ও রাতের খাবারের শেষে প্রতিদিন আম খাওয়ার অভ্যাসও সঠিক নয়। পরিবর্তে ব্রেকফাস্টে হাই ফাইবার খাবার যেমন ওটস, ডালিয়া ইত্যাদির সঙ্গে এক পিস আম খেতে পারেন। কিন্তু একসঙ্গে তিন-চারটে আম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

Mango

[আরও পড়ুন: ‘ফ্যাটি হার্ট’ই ডেকে আনল কেকে’র মৃত্যু! কেন হয় এই সমস্যা?]

কাঁঠালের (Jackfruit) কার্যকারিতা –
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে রাতের খাবার খেয়ে প্রতিদিন এক-দু কোয়া কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ক্যালশিয়ামের ঘাটতি থাকলে, অস্টিওআর্থারাইটিসেও ডায়েটে রাখতে পারেন। আবার কাঁঠাল থাইরয়েড হরমোনের মেটাবলিসমে অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই থাইরয়েড রোগীরাও সারাদিনে এক-দুই কোয়া কাঁঠাল খেলে উপকার মিলবে।

Jackfruit

তালশাঁসে (Palm kernels) কী আছে?
কিডনির সমস্যায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং জল খাওয়ার বিধিনিষেধ থাকে। সারাদিনে সীমিত জল খেতে হয় বলে স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের গরমে খুবই কষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে তালশাঁস জলের খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। তালশাঁসে যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম খুবই কম থাকে তেমনি শরীরে জলের চাহিদাও পূরণ হয়। সাধারণত যে-কেউ দিনে দু-তিন পিস তালশাঁস খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

Palm kernels

লিচু (Lychee) খান শরীর বুঝে –
লিচুর মধ্যে যেহেতু সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিসে বুঝে খেতে হবে। মিড-মর্নিংয়ে কিংবা বিকেলে চার-পাঁচটা লিচু খেতে পারেন। লিচুতে পটাশিয়াম বেশি থাকে বলে কিডনির সমস্যা থাকলে খাওয়া উচিত নয়। তবে এতে ভিটামিন বি১২ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। থাইরয়েড রোগীদেরও খুব বুঝে লিচু খেতে হবে।

Lychee

কোলেস্টেরলের বাধা নেই –
কোলেস্টেরলের সঙ্গে ফলের কোনও সম্পর্ক নেই। কোলেস্টেরল বাড়লে খাবারে ফ্যাটের উপাদান খেয়াল রাখতে হবে। তবে ডায়েবেটিসে যেমন কোনও নির্দিষ্ট ফল খেলে রাতারাতি রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, কোলেস্টেরলে কিন্তু সেরকম হয় না। আরও জানতে ফোন করতে পারেন ৬২৯০৪১২৭২৫ নম্বরে।

[আরও পড়ুন: বেশি রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস? নিজের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ