Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফলের খোসা ফেলে দেন! জানেন কত কাজে লাগে?

কোনও কিছুই ফেলনা নয়।

Benefits Of Fruit Peels For Your Skin And Home
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 20, 2017 6:15 am
  • Updated:October 4, 2019 5:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আঙুর, কমলালেবু, আপেল, বেদানা, তরমুজ। এসব ফল মানেই রসে ভরা। মুখে দিলে সুখের স্বর্গে। কিন্তু আমরা এইসব ফলের মজা পেলেও অগোচরে এর গুণগুলি হারিয়ে ফেলি। বিষয়টি কীরকম? এইসব ফলের খোসা আমরা উচ্ছিষ্ট হিসাবে সাধারণত ফেলে দিয়ে থাকি। অথচ এসব খোসা বা ছালেই লুকিয়ে ফলের গুণাগুণ। নিচের প্রতিবেদন পড়লে বুঝতে পারবেন এই খোসা কতটা কার্যকরী।

[লাল ফৌজের সঙ্গে লড়াই ভারতীয় সেনার, ভাইরাল ভিডিও]

কমলালেবু- কমলার খোসা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়, তবে ভারসাম্য রেখেই। ব্রণের সমস্যা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। রান্নায় ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ, গন্ধ আলাদা মাত্রা পায়। ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কাটাতেও কমলার খোসা বেশ কার্যকরী। সবথেকে ভাল ও প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে পারে একমাত্র কমলালেবুর খোসা।

Advertisement

আপেল – এই ফল কেউ খোসা সমেত খান, কেউ ফেলে দেন। সেখানেই হয়ে যায় গণ্ডগোল। আপেলের খোসায় থাকে ট্রিটেরপর্নোইডস, যা ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছড়া আর্সলিক অ্যাসিড শরীরের মাংস পেশিতে মেদ জমতে দেয় না। তবে আপেলে মোমের প্রলেপ থাকলে লাভের থেকে ক্ষতিটাই কিন্তু বেশি।

Advertisement

FRUIT-EFFECT-2

তরমুজ – তরমুজের প্রায় পুরোটাই জল। কিন্তু জলে দেওয়ার মতো নয়। ভিটামিন এ, সি, বি-৬ এ ভরপুরে তরমুজ। এতে যে পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে তা পেশির যন্ত্রণা কমানোর পক্ষে যথেষ্ট। তরমুজের খোসার উপকারিতাও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে এর খোসা যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। খোসায় রয়েছে সাইট্রুলিন নামক এক যৌগ যা সেক্স বুস্টার হিসাবে কাজ করে।

কলা – প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। অল্প দামে সবথেকে পুষ্টিকর ফল এটি। তবে এই ফলের খাদ্যগুণের অধিকাংশই লুকিয়ে খোসায়। গবেষণা বলছে দুনিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন কলার খোসা ফেলে দেওয়া হয়। অথচ কলার ছালেই লুকিয়ে অজস্র গুণ। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন নামক উপাদান। যা আমাদের চোখের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। মুখে বা শরীরে যে কোনও অংশে চুলকানি বা ফোড়া হলে সেই অংশে কলার খোসা হালকা করে ঘষলে কাজ হয়। পতঙ্গ কামড়ালেও মুশকিল আসানের কাজ করে কলার খোসা। কলার খোসায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যানসারের প্রতিরোধক। কলার দানাতেও ভেষজগুণের অভাব নেই।

কালো আঙুর-  এর খোসা অবশ্যে সেভাবে কেউ ফেলেন না। আঙুরের খোসায়  রেসভেরাট্রল নামক উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলকে বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে কালো আঙুরের খোসা। এছাড়া এটি অ্যান্টি টক্সসিক এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার। এছাড়া এর খোসা আমাদের ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি আমাদের ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।

[অতি খোলামেলা পোশাকে ছবি, ইনস্টাগ্রামে থেকে সরতে হল মডেলকে]

পেঁপে- পাকা পেঁপের খোসা পেস্ট করে ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে মুখের স্কিন ভালো হয়।

বেদানা– বেদানার খোসার গুঁড়ো খুবই কার্যকরী। কাশি বা গলাব্যথা হলে গরম জলে গুঁড়ো দিয়ে কুলকুচি করলে আরাম মেলে। এই জলে দাঁতেরও কিছু রোগ সারে।

তালিকা আর বাড়ানো হল না। এই পর্যন্ত পড়ার পর কেউ কেউ বলবেন এসব করবেন কখন? ঠিক কথা। আপনি করবেন না জোগাড় করবেন সেটা নিজস্ব ব্যাপার। তবে এখন যা মাগ্গিগন্ডার বাজার তাতে কিছুই কিন্তু ফেলার নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ