Advertisement
Advertisement
adenovirus

রাজ্যে দাপট বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের, ‘বাইরে থেকে এসে বাচ্চার সংস্পর্শে নয়’, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের মত।

Experts issues special guideline for kids on adenovirus | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 26, 2023 1:10 pm
  • Updated:February 26, 2023 1:10 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য জুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে অ‌্যাডিনো ভাইরাস (Adenoviruses)। ‘শত্রু’র প্রথম টার্গেট বাচ্চারা। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা আর এস ভি থাকলেও সংখ্যাটা নেহাৎ নগণ‌্য। ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৬৪ নমুনা পরীক্ষা করে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন। ফল দেখে চোখ কপালে বিশেষজ্ঞদের। ৬১টি নমুনাই অ‌্যাডিনো। এর মধ্যে মিলেমিশে আছে টাইপ ৩ ও ৭। মাত্র ২টি ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং একটি আরএসভি ভাইরাস। যদিও অ‌্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যুহার কম। কিন্তু কাশি আর শ্বাসকষ্ট এতটাই ভয়াবহ যে আক্রান্তকে অক্সিজেন দিতেই হচ্ছে। দিতে হচ্ছে ইনহেলার অথবা নেবুলাইজার। অন্তত শ্বাসকষ্টের উপশম করতে।

অ‌্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলা করতে শনিবার সব মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগী ও জনস্বাস্থ্য আধিকারিক। বৈঠকের নির্যাস, কোভিডের (COVID-19) মতো দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই সব হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক ও প্রয়োজনে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড চালু করতে হবে। ইতিমধ্যে এম আর বাঙুর হাসপাতালে শিশুদের ২১ শয্যার পেডিয়াট্রিক ও ৩৭টি এসএনসিইউ বেড রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, “বারাসত হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড নেই। তাই উত্তর ২৪ পরগনার সিংহভাগ অসুস্থ শিশুকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। চাপ বাড়ছে বিসি রায়ের। অন্য হাসপাতালেও আইএলআই, এআরএস বা অ‌্যাডিনো সংক্রমিত শিশুর চিকিৎসা করতে হবে।”

Advertisement

KMC warns against self-medication as Adenovirus rages

Advertisement

[আরও পড়ুন: মার্চের শুরুতেই রাজ্যের তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ৩৫ ডিগ্রি! আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস]

ডা. নিয়োগীর কথায়, “বাইরে থেকে এসে বাচ্চাকে আদর বা কোলে করবেন না। বড়দের থেকেই সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যাপক সম্ভাবনা। জ্বর-সর্দি হলে বাচ্চাকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ বাচ্চার জামাকাপড়, খাওয়ার বাসন ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে।”

আইসিএইচের ১৬০ বেড আর ১৪টি আইসিইউ ভরতি। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৩৫টি ভেন্টিলেটর ও ৫৪০টি শয্যা ভরা। মেডিক্যাল বা এনআরএসেও একই হাল। বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. দিলীপ পাল বলেন, “টেস্ট কিট কম। তাই নাইসেড-এ পাঠানো হচ্ছে। ট্রপিক্যাল ও নাইসেড ভাইরাস পরীক্ষা করে। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালও করে। কিন্তু খোলাবাজারে একবার টেস্ট করতে খরচ প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় পরীক্ষা হয়। ঘটনা হল, নাইসেডে যথেষ্ট টেস্ট কিট থাকলেও ট্রপিক্যালে কিটের ভাঁড়ার তলানিতে। যদিও এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অধিকর্তা ডা. শুভাশিস কমল গুহ।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কমিটির রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলা শীর্ষে, শেষে যোগীরাজ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ