পৌষালী দে কুণ্ডু: ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন হয়েছে বরুণ ধাওয়ানের (Varun Dhawan)। ‘ভেড়িয়া’ ছবির প্রচার করতে গিয়ে নিজে একথা জানিয়েছেন অভিনেতা। কী এই রোগ? শরীরকে কীভাবে প্রভাবিত করে? বিস্তারিত জানালেন ইএনটি সার্জন ডা. অরুণাভ সেনগুপ্ত।
কী এই ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন?
ডা. অরুণাভ সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, কানের তিনটি ভাগ থাকে। বহিঃকর্ণ বা এক্সটারনাল ইয়ার, মধ্যকর্ণ বা মিডল ইয়ার এবং অন্তঃকর্ণ বা ইনার ইয়ার। এই অন্তঃকর্ণের অন্যতম অংশ হল ভেস্টিবিউলার অ্যাপারেটাস। যার কাজ কানের ভারসাম্য রক্ষা করা। এন্ডোলিম্ফ নামের তরল এই ভারসাম্য রক্ষা করে। যাতে পোস্তর দানার মতো কিছু পার্টিকেল থাকে। এই দানাগুলি যখন এন্ডোলিম্ফ থেকে বেরিয়ে আসে। তখন ভারসাম্য বিগড়ে যায় এবং ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন হয়।
ডা. সেনগুপ্তর বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণ তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। কারণ একটানা মোবাইল দেখা বা কম্পিউটারে কাজ করা। এতেই ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন হতে পারে। যার প্রভাবে শারীরিক ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, হাঁটাচলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই উচিত। তিনিই অবস্থা বুঝে এর প্রতিকার করতে পারবেন। কীভাবে তা করা হয় সে প্রক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক জানান, এমন ক্ষেত্রে এন্ডোলিম্ফের দানাগুলি আবার ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। তার ভেজাভাবও বজায় রাখতে হয়। এর জন্য সবসময় ওষুধের প্রয়োজন হয় না। ৫০ থেকে ৬০ রকমের এক্সারসাইজ রয়েছে যা দিনে ১৫ থেকে ২০বার করতে হয়। এমনটা করতে গেলে আবার তরলের প্রেশার বেড়ে যায়। তাতে সমস্যা হতে পারে। ফলে প্রেশার কমাতে এমন ওষুধ দেওয়া হয় যা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
এই ধরনের ওষুধ খেলে আবার শরীরে পটাশিয়াম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই জল কম আর ডাবের জল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কাঁচা নুন খেতে বারণ করা হয়। এছাড়াও যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সেই অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহে ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। তা না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.