সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’লক্ষের কোটা পেরনো আর সময়ের অপেক্ষামাত্র। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৯৬। দেশ আনলক শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া নয়া পরিসংখ্যান দেখে চিন্তার ভাঁজ আরও খানিকটা চওড়া হল বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতার কপালে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৭১জন, মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। সবমিলিয়ে দেশে করোনার বলি ৫৫৯৮। বিশ্বজুড়ে করোনা যে ত্রাস ছড়িয়েছে, কোভিডকে জব্দ করার দাওয়াই খুঁজতে গবেষকরা এখন প্রায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। তবে প্রতিষেধক না মিললেও জরুরী অবস্থায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ‘রেমডেসিভির’ (Remdesivir) নামক এক ওষুধেই আশার আলো দেখছে ভারত।
কী এই ‘রেমডেসিভির’? রেমডেসিভিরই প্রথম ওষুধ, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীরা উপকৃত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ভারতের আগে কোভিড চিকিত্সায় রেমডিসিভির প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইমেলের মাধ্যমে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগস ব্যবহার করা যাবে। ১ জুন থেকেই সারা ভারতে এই নির্দেশ লাগু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ‘হাই ডোজ’ কমায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা’, দাবি ICMR-এর সমীক্ষায়]
কীভাবে এই ওষুধের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা যাবে? কর্তৃপক্ষের নির্দেশানুসারে, এই ওষুধ রোগীর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যাবে। দেশে যেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, সেই পরিস্থিতির মূল্যায়ণ করেই ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের করোনা পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতের স্থান এই মুহূর্তে সপ্তম। রবিবারই সংক্রমণের হারে পিছনে ফেলে দিয়েছে জার্মানি, স্পেনকে। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, খুব দ্রুতই এই তালিকায় আরও উপরের দিকে উঠতে চলেছে দেশ, অর্থাৎ পরিস্থিতির গ্রাফ অবনমনের দিকে। তবে আশাও রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি কিন্তু বাড়ছে সুস্থতার হারও। এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৫,৫২৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থাই স্থিতিশীল। এমতাবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জিলিড সায়েন্স ইংক-এর (Gilead Sciences Inc) অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহারের অনুমতি দিল ভারত সরকার।