সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোটা হওয়ার ভয়ে আইসক্রিম, চকোলেট, কোল্ড ড্রিঙ্কস খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন? কিন্তু জানেন কি অনেকেই আছেন, যাঁরা ভাতের বদলে নিয়মিত আইসক্রিম খান। অথচ এতটুকু মোটা হন না বা অন্য কোনও অসুস্থতাও তাঁদের কাবু করতে পারে না। বিষয়টা জেনেই নিশ্চয় খুব হিংসা হচ্ছে? হিংসা আরও বেড়ে যাবে যখন জানবেন, সেই সব ভাগ্যবানদের স্মৃতিশক্তিও অন্যান্যদের তুলনায় বেশি হয়। এমনকি প্রখর হয় বুদ্ধিও। রাগ-হিংসা যাই হোক না কেন দুম করে আবার ভেবে ফেলবেন না, আইসক্রিমই হল স্মৃতিবর্ধক দাওয়াই। আসল সিক্রেট তো লুকিয়ে আছে পৌষ্টিকতন্ত্রে।
[নরম পানীয়ে আসক্ত! জানেন গর্ভধারণে কতটা ক্ষতি করছে এটি?]
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ রব নাইটের দাবি, ঘুম হোক বা স্মৃতিশক্তি, সবই নিয়ন্ত্রণ করে পেট। অর্থাৎ, পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে শরীরের বাকি অঙ্গগুলিও সুস্থ থাকবে। গবেষকরা মানুষের পৌষ্টিকতন্ত্রে এমন অসংখ্য অণুজীবের সন্ধান পেয়েছেন, যারা শরীরের প্রায় ৫৭ শতাংশ কোষের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এভাবেই ঘুম থেকে ব্রেনের স্বাস্থ্য সবই নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশ্বব্যাপী একটা ধারণা রয়েছে, শাক-সবজি, ফলমূল খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। কিন্তু মানুষে মানুষে যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনই বৈচিত্র রয়েছে পেটে পেটেও। তাই সাধারণের কাছে যা চরম অনিয়ম, তেমন খাবার খেয়েই অনেকে দিব্ব্যি সুস্থ থাকেন। না মোটা হওয়ার ভয়, না অন্য অসুস্থতা।
এর থেকেও বড় বিস্ময়, ব্যাকটেরিয়াদের ভূমিকা। পেটে থাকা অসংখ্য ব্যাকটেরিয়াই আমাদের শরীরের বন্ধু। তাদের শরীরে তৈরি ভিটামিনের ভাগ নিয়ে আমাদের ভিটামিনের প্রয়োজন মেটে। তাই যখন কোনও অসুখের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয় তখন সেই সব বন্ধু ব্যাকটেরিয়াদের মৃত্যু হয়। ফলে শরীরে ভিটামিনের অভাবজনিত নানা উপসর্গ দেখা দেয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের উপর বন্ধু ব্যাকটেরিয়াদের উপকারি প্রভাবের সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। যে তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীরা এক প্রকার নিশ্চিত, পেট এবং পৌষ্টিকতন্ত্রের বন্ধু ব্যাকটেরিয়ারা যদি সুস্থ থাকে তাহলে যাই খান না কেন শরীর ও মনের সুস্থতা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। প্রখর হবে বুদ্ধি। বাড়বে স্মৃতিশক্তি।
[কপাল না ঠোঁট? কোথায় চুম্বনে গাঢ় হয় ভালবাসা?]