BREAKING NEWS

১৪ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মাতৃদুগ্ধে কীটনাশক? উত্তরপ্রদেশের গ্রামে ১০ মাসে ১১১ শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য!

Published by: Kishore Ghosh |    Posted: January 30, 2023 8:28 pm|    Updated: January 30, 2023 8:37 pm

Pesticides in breast milk? 111 newborns die in 10 months in up | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অমৃত’ই কি প্রকৃত গরল? উত্তর খুঁজছেন লখনউ-এর ‘কুইন মেরি’ হাসপাতালের (Queen Mary Hospital) গবেষকরা। নেপথ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যু। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহারাজগঞ্জে গত ১০ মাসে রহস্যজনক ভাবে ১১১ শিশুর মত্যু হয়েছে। কোন কারণ ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দাবি করেছেন, মাতৃদুগ্ধে (Breast Milk) ভয়ংকর কীটনাশকের উপস্থিতি শিশু মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

কুইন মেরি হাসপাতালের অধ্যাপক সুজাতা দেব, ড. আব্বাস আলি মেহেদি এবং ড. নয়না দ্বিবেদী গবেষণাটি চালান। যেটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এনভায়েরমেন্টাল রিসার্চ জেনারেলে (Environmental Research General) । নয়া সমীক্ষায় চিন্তায় পড়তে পারেন সেই সব মায়েরা, যাঁরা অধিকমাত্রায় আমিশভোজী। আসলে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের জট খুলতে মহারাজগঞ্জ অঞ্চলের ১৩০ জন অন্তঃসত্ত্বার প্রতি দিনের খাওয়ার দাওয়ার উপর সমীক্ষা চালান ‘কুইন মেরি’ হাসপাতালের গবেষকরা। এরপরই তারা দাবি করেন, ওই মহিলাদের খাদ্যগ্রহণের মধ্যেই ছিল বিষাক্ত কীটনাশক। রক্তের মাধ্যমে তা গর্ভস্থ ভ্রুণের মধ্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমিশভোজী মায়েরা অধিক চিন্তিত হবেন কেন?

[আরও পড়ুন: এবার মোদি সরকারের নজরে বেসরকারি টিভি চ্যানেল, বেঁধে দেওয়া হল নয়া গাইডলাইন]

যেহেতু গবেষকরা দাবি করেছেন, নিরামিশভোজী মায়েদের তুলনায় আমিশভোজী মায়ের দুধে তিনগুণ বেশি কীটনাশক মিলেছে। সেই মাতৃদুগ্ধই খেয়েছিল সদ্যোজাতরা। হতে পারে তার ফলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। গবেষকদের কাছে প্রশ্ন ছিল, সদ্যোজাতরা শস্য বা মাংস খায় না, তারপরেও তাদের শরীরে কীভাবে কীটনাশকের নমুনা মিলছে? এর উত্তরে গবেষকদের ধারণা, মায়ের দুধ মারফত সন্তানের শরীরে বিষাক্ত কীটনাশক ঢুকে পড়ছে।

[আরও পড়ুন: শিষ্যাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু, মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা]

গবেষকদের বক্তব্য, নিরামিশভোজী মায়েদের ক্ষেত্রে কীটনাশক দিয়ে চাষ করা ফসল খেয়ে যেমন ‘বিষ’ ঢুকছে শরীরে, অন্যদিকে আমিশভোজীদেরও মুক্তি নেই। কারণ, ইদানিংকালে মুরগি ও অন্য পশুদেরও দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কেমিক্যাল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুরা। এর থেকে মুক্তির পথ জানা নেই গবেষকদেরও।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে