Advertisement
Advertisement
মেডিকা হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাংক

কলকাতায় প্রথম, করোনা মোকাবিলায় মেডিকা হাসপাতালে চালু হল প্লাজমা ব্যাংক

সোমবার থেকেই চালু হয়ে যাবে প্লাজমা ব্যাংক।

Plasma bank will open to fight Corona at Medica Super speciality hospital from Monday
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 5, 2020 5:50 pm
  • Updated:July 5, 2020 5:54 pm

অভিরূপ দাস: করোনাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে প্লাজমা থেরাপি (Plasma)। মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ফেরা ব্যক্তির থেকে অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ দেহরস সংগ্রহ করে তা অসুস্থের শরীরে প্রয়োগ করার চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ সাফল্যের মুখ দেখেছে। রোগীদের মধ্যেও বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা। সেই চাহিদা মেটাতে এবার বেসরকারি উদ্যোগে কলকাতায় প্লাজমা ব্যাংক চালু হচ্ছে বাইপাসের ধারে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই এই ব্যাংক চালু হয়ে যাবে।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে COVID হাসপাতাল বলে ঘোষণা করার পর এখানেই প্রথম প্লাজমা ব্যাংক তৈরি হয়। সেটা ছিল সরকারি উদ্যোগ। কিন্তু রাজ্যে করোনা ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যু ঠেকাতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালও। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বাইপাসের ধারে মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। এখানেই বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম চালু হচ্ছে প্লাজমা ব্যাংক (Plasma Bank)। হাসপাতালের চেয়ারম্যান অলোক রায় বলেন, ”করোনায় যে কোনও প্রকারে মৃত্যু ঠেকানোই আমাদের উদ্দেশ্য। তার জন্য এই প্লাজমা ব্যাংক চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমরাও সভা করেছি, সেখান থেকেও ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ’, দায় স্বীকার দিলীপের]

কারা এই ব্যাংকে প্লাজমা দান করতে পারবেন? দাতার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন হওয়া দরকার, তার বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে মেডিকা কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে –

Advertisement
  • যাঁরা করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন, টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর ১৪ দিন কেটে গিয়েছেন, তাঁরা প্লাজমা দিতে পারবেন।
  • প্লাজমাদাতার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
  • প্লাজমা দেওয়ার আগে CBC (Complete Blood Count), HIV, হেপাটাইটিস -B এবং C, TTI – এই চারটি পরীক্ষা করা হবে দাতার। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকলে, তবেই প্লাজমা নেওয়া হবে।
  • তবে সদ্য সন্তান প্রসব করেছেন, এমন কারও থেকে প্লাজমা নেওয়া হবে না।

[আরও পড়ুন: মহামারীর জমানায় কীভাবে ধোবেন সবজি-ফল? নয়া গাইডলাইন দিল কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা সংস্থা]

হাসপাতালের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তথা কার্ডিয়াক সার্জেন ডাক্তার কুণাল সরকার বলছেন, ”রোগীদের মধ্যে বাড়ছে প্লাজমার চাহিদা। সেই চাপেই প্লাজমা ব্যাংক খোলা হচ্ছে। যাঁরা করোনামুক্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহ থেকে অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা নিয়ে রোগীদের দেহে প্রবেশ করানো হচ্ছে, তাঁদের সুস্থ করে তোলার জন্য। একজনের প্লাজমা দিয়ে দু’জনের চিকিৎসা হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ