Advertisement
Advertisement
Salivary glands

মানব শরীরে নতুন অঙ্গ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা! গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ক্যানসার চিকিৎসায়

আচমকা এমন আবিষ্কারে নতুন দিগন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে।

Scientists discover new organ in the human throat while studying prostate cancer | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 22, 2020 4:58 pm
  • Updated:October 22, 2020 5:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানব শরীরে এক সম্ভাব্য নতুন অঙ্গ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। নেদারল্যান্ডসে (Netherlands) বিজ্ঞানীদের এক দল প্রস্টেট ক্যানসারের বিষয়ে গবেষণা করার সময় আচমকাই ওই অঙ্গ খুঁজে পান। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভসায়েন্সের এক প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে। ‘নেদারল্যান্ডস ক্যানসার ইনস্টিটিউটে’র ওই গবেষকরা গলার উপরের দিকে হাজার হাজার আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থি (Salivary glands) দেখতে পেয়েছেন। গ্রন্থিগুলির তাঁরা নামকরণ করেছেন ‘টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থি’।

‘জার্নাল রেডিওথেরাপি অ্যান্ড অঙ্কোলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্তত একশো জন রোগীর শরীরে পরীক্ষা চালিয়ে তবেই তাঁরা ওই লালা গ্রন্থির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। এই আবিষ্কার ক্যানসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই গ্রন্থিগুলির আকার প্রায় দেড় ইঞ্চি তথা ৩.৯ সেন্টিমিটার। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই গ্রন্থিগুলি সম্ভবত নাক ও মুখের পিছনের দিকে অবস্থিত গলার উপরের অংশকে সিক্ত ও আর্দ্র করে রাখে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সারাদিনে ৫ ঘণ্টারও কম ঘুমোচ্ছেন? সাবধান, আপনার শরীরে হামলা চালাতে ওঁৎ পেতে বসে করোনা]

প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত মানব শরীরে তিনটি বড় লালাগ্রন্থির সন্ধান পেয়েছে মানুষ। তার একটি গলার নিচে অবস্থিত। বাকি দু’টির একটি চোয়ালের নিচে ও অন্যটি চোয়ালের পিছন দিকে অবস্থিত। এক বিবৃতিতে ওই ক্যানসার ইনস্টিটিউটের রেডিয়েশন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ওউটার ভোগেল, যিনি এই গবেষণার অন্যতম গবেষকও বটে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘সম্ভবত হাজার হাজার লালাগ্রন্থি ছড়িয়ে রয়েছে গলা এবং মুখের মিউকোসাল টিস্যুতে। তাহলে ভেবে দেখুন প্রথম এটা আবিষ্কার করার পর আমরা কতটা চমকে গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

চিকিৎসকের ক্যানসারের চিকিৎসা করার সময় রেডিওথেরাপি ব্যবহার করেন। সেই সময় তাঁরা প্রধান লালাগ্রন্থিগুলিকে বাঁচিয়ে তা প্রয়োগ করেন, যাতে রোগীদের খেতে, কথা বলতে কিংবা খাবার চিবোতে সমস্যা না হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যেহেতু ওই ‌আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থিগুলি সম্পর্কে তাঁরা অবহিত ছিলেন না তাই সেগুলি হয়তো রেডিয়েশনের কবল থেকে বাঁচত না। ফলে রোগীর শরীরে আরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেত। আগামী দিনে বিজ্ঞানীরা এই লালা গ্রন্থিগুলির সম্পর্কে সচেতন থাকলে রেডিয়েশনের সময় রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমবে।

[আরও পড়ুন: করোনার মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে মাউথওয়াশ! চাঞ্চল্যকর দাবি মার্কিন গবেষকদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ