১৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ২৮ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

করোনা চিকিৎসায় ৪ ওষুধে আস্থা, অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক করল স্বাস্থ্যদপ্তর

Published by: Tiyasha Sarkar |    Posted: September 24, 2020 11:34 am|    Updated: September 24, 2020 3:42 pm

Corona news in Bangla: Unnecessary do not use antibiotics, state govt said | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

স্টাফ রিপোর্টার: চার ওষুধেই করোনামুক্তি! অন্তত এমনটাই এতদিন নিদান দিয়েছেন দেশের কোভিড (COVID) বিশেষজ্ঞরা। দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্যসংস্থা আইসিএমআরও (ICMR) এবার এই চারটি ওষুধেই আস্থা রাখতে চলেছে। আবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর কোভিড হাসপাতাল ও রোগীদের ফের সতর্ক করেছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে। খুব দরকার হলে যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি-থ্রি এই চার ওষুধ ভিন্ন মাত্রায় করোনা আক্রান্তের উপর প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন দেশের করোনা বিশেষজ্ঞরা। এমনকী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও আইভারমেকটিন ওষুধ করোনা পজিটিভ রোগীকে প্রয়োগ করে দ্রুত সুস্থ করেছেন। এবার সেই ওষুধ তো বটেই, ডক্সিসাইক্লিন জিঙ্ক এবং সপ্তাহে একদিন করে ভিটামিন ডি-থ্রি প্রয়োগ করতে বলছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, “সরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীকে আইভারমেকটিন কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে। তবে বাকি ওষুধ বিশেষজ্ঞরা প্রোটোকল মেনেই প্রয়োগ করছেন।” স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধিকর্তা ডা. প্রতীপ কুণ্ডুর কথায়, “বিশেষজ্ঞরা যে ওষুধ দিয়ে করোনা রোগীদের সুস্থ করেছেন, তাতেই আস্থা রাখতে চলেছে আইসিএমআর।

[আরও পড়ুন: করোনা কালে আয়ুষ মন্ত্রকের ‘স্বদেশি বিপ্লব’, রোগব্যাধি দূরে রাখতে তৈরি ২৬ রকমের রেসিপি]

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, এবং জিঙ্ক জাতীয় ওষুধ টানা ১৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে করোনা রোগীকে। এবং রক্ত পরীক্ষা করে ভিটামিন ডি-থ্রি রোগীকে দিতে হবে। করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে এই চারটি ওষুধের নিদান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্যসংস্থাও এই চারটি ওষুধের উপর ভরসা রেখে গাইডলাইন প্রকাশ করতে চলেছে। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সব কোভিড হাসপাতালকে করোনা রোগীদের উপর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলেছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ভাইরাল রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক তেমন কার্যকর নয়। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করতে হবে। রোগীর রক্ত, মূত্র ও অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা এবং সিটি স্ক্যান করে দেখতে হবে।

[আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ভেষজ পাচনে আস্থা WHO-র, তৃতীয় ট্রায়ালের পরই মিলতে পারে চূড়ান্ত অনুমোদন]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে