সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল আসন্ন। তাই বয়স্কদের পাশাপাশি বাড়ির ছোটদেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। খানিক সাবধানতা অবলম্বন করলেই এ সময় রোগব্যাধির থেকে দূরে থাকা সম্ভব তাদের। কচিকাঁচাদের ভাল থাকা, তাদের শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখার দায়িত্ব অভিভাবকদেরই৷ কেমন ভাবে এই ঠান্ডার মরশুমে সুস্থ রাখবেন আপনার খুদেকে৷ রইল এর কয়েকটি টিপস৷
১৷ ভোরের দিকে ফ্যানের স্পিড কম করে ছোটদের গায়ে ও গলায় অবশ্যই হালকা চাদর চাপা দিয়ে দিন। সারা রাত চাদরে শুলেও সমস্যা নেই। তবে খেয়াল রাখুন বাচ্চা যেন ঘেমে না যায়। তাতে ঘাম বসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। ভোরে ঘরের জানালাও বন্ধ করে রাখুন। রোদ ফুটলে খুলে দিন। ছোটরা যারা সকালে স্কুলে যায়, তাদের মাথায় হালকা স্কার্ফ জড়িয়ে দিন।
[ঘরোয়া উপায়ে দূরে সরান কিডনির পাথর]
২৷ এই সময় বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম জাতীয় সবজির তরকারি প্রত্যেকের বাড়িতেই তৈরি হবে। বাচ্চাদের রাতের খাবারে এই ধরনের সবজি এড়িয়ে চলুন। বিশেষত সাত বছরের নীচে যাদের বয়স। অনেক সময় এই ধরনের সবজি থেকে পেটগরম, বদহজম হতে পারে। বমি হলে বাচ্চাকে বারেবারে ওআরএস খাওয়ান। জল-মুড়ি, চিঁড়ে-জল, টক দই খাওয়ানো যেতে পারে। তবে দু’তিনবারের বেশি বমি হলে বা বমি কমতে না চাইলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তেলমশলা খেয়ে বা অন্য কোনও কারণে ডায়রিয়া হলে বাচ্চাকে বারেবারে জল, ওআরএস খাওয়ান। বাড়িতে তৈরি পাতলা খিচুড়ি, হালকা চারামাছের ঝোল বাচ্চাকে খাওয়ানো যেতে পারে।
৩৷ এই সময় হাওয়ায় আর্দ্রতা কমে যায়। স্নানের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোনও ভাল ব্র্যান্ডের বেবি অয়েল বা স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ত্বকে কোনওকিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য রোজ ভিটামিন সি যুক্ত ফল-যেমন, কমলালেবু, পাতিলেবু, আমলকী খাওয়ান। ছোটখাট সর্দি-কাশির মতো সমস্যা এতে প্রতিরোধ হবে। ছোটদের রোজ কোনও এক বা দু’ধরনের মরশুমি ফল খাওয়ান।
[খুদের বারবার খিদে পাচ্ছে? ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নয় তো?]
৪৷ পড়ে গিয়ে কোথাও ব্যথা পেলে রাতে শোয়ার আগে একচিমটে হলুদ গুঁড়ো একগ্লাস দুধে মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাবেন। বাচ্চার যদি ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে অথবা অ্যাজমার সমস্যা থাকে, তাহলে শীত ভরপুর আসার আগে সিজন চেঞ্জের সময় বিশেষ যত্নে রাখুন এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হাঁপানি বা ডাস্ট অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। বিশেষত বাচ্চারা মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় বা স্কুলে যাতায়াতের পথে মাস্ক পরিয়ে দিন।
৫৷ ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না। দু’দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। জ্বরে মুখে অরুচি হলে বাচ্চা যা খেতে চায় তাই দিন, তবে তেল-ঝাল-মশলা বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন না। মুখরোচক কিছু খেতে চাইলে বাড়িতে বানিয়ে দিন। যেমন, স্টাফড পরোটা, এগরোল, স্যান্ডউইচ, চিঁড়ের পোলাও বাচ্চাকে দেওয়া যেতে পারে।
[বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস: সুস্থ থাকতে দুধে-ভাতে না থেকে পালটে ফেলুন অভ্যাস]
৬৷ সর্দি-কাশি-গলা ব্যথা হলে বাচ্চাকে স্কুলে না পাঠানোই ভাল। এর থেকে অন্য বাচ্চাদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে দিন। মসকুইটো রেপেলেন্ট যাতে ঘরে সারাক্ষণ না জ্বলে সেদিকেও নজর দিন। বিকেলের দিকে খেলতে যাওয়ার বা বাচ্চা বাইরে গেলে জামায় মসকুইটো রেপেলেন্ট স্প্রে করে দিন। রেপেলেন্ট ক্রিম থেকে স্কিন অ্যালার্জি হতে পারে, তাই ছোটদের না ব্যবহার করাই ভাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.