সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাড়িকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে কে না চায়। আত্মীয়-পরিজন, অতিথিরা বাড়িতে ঢুকেই বেশ মুগ্ধ হয়ে যাবেন, এমন আকাঙ্খা কম-বেশি সকলেরই থাকে। আর সেই কারণেই সাধারণত বসার ঘর বা ড্রয়িং রুমটিকে সাজাতে আমরা বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ি। নানা ধরনের শৌখিন জিনিস, ওয়াল পেন্টিং, হ্যাঙ্গিং লাইট ইত্যাদি দিয়ে বসার ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়। সোফা সেটের থেকে টিভির দূরত্বটাও বেশ মেপেই রাখা হয়। যাতে অতিথিদের প্রশংসা পাওয়া যায় সহজেই। আর এতেই উপেক্ষিত হয় শোয়ার ঘরটি। সে ঘরটিকে আর সুন্দর করে সাজিয়ে ওঠা হয় না। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, আপনার এবং আপনার পরিবারের কাছে শোয়ার ঘরটির গুরুত্বই তো বেশি। তাই শুধু প্রশংসা পেতেই নয়, দেহ আর মনের শান্তির জন্যই সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলুন বেডরুম। এতে নিঃসন্দেহে রাতের ঘুম আরও মধুর হবে। আর শোয়ার ঘর সাজানোর সময় মাথায় রাখুন এই পাঁচটি বিষয়।
১. শোয়ার ঘরটি শুধুই যে শোয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, এমন তো নয়। অনেক সময় বিছানায় বসে অনেকে পড়াশোনাও করেন। সেক্ষেত্রে বিছানার একপাশে টেবিল ল্যাম্প রাখতে পারেন। তাছাড়া নবদম্পতিরা ফলস সিলিংয়ে ব্যবহার করতে পারেন লালচে অথবা নীলচে আলো। নিয়ন আলোর নিচে ঘনিষ্ঠতা আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
২. ড্রয়িং কিংবা ডাইনিং রুমের দেওয়ালটি সুন্দর করে তুলতে নানা ধরনের পেন্টিং কিংবা ওয়াল হ্যাঙ্গিং ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শোয়ার ঘরে একটা দেওয়াল ঘড়ি ছাড়া সেভাবে কিছুই থাকে না। এবার ভাবুন, ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে চোখ খুলে ঠিক যে দেওয়ালটিতে আপনার চোখ যায়, সেখানে আপনি কী দেখলে খুশি হবেন। কোনও অন্তঃসত্ত্বা মহিলার হাসি ফুটতে পারে শিশুর ছবি দেখে। কিন্তু কোনও ব্যাচেলর ভালবাসতে পারেন ফুটবল। নিজের পছন্দের হিসেবে সেভাবেই দেওয়ালটি সাজান। ওয়াল পেন্টিং, ওয়াল স্টিকার ব্যবহার করেও আপনার ইচ্ছেপূরণ করতে পারেন। এসে শোয়ার ঘর একটা আলাদা প্রাণ পায়।
৩. চেষ্টা করুন শোয়ার ঘরে কালচে খয়েরি, চকোলেট রং কিংবা অত্যন্ত উজ্জ্বল রং না ব্যবহার করতে। চোখে আরাম লাগে, এমন রংই শোয়ার ঘরের জন্য আদর্শ। সেই সঙ্গে দিনের বেলা যাতে ঘরে আলো খেলে, তেমন রংই বেছে নিন।
৪. একটা বিছানা। পাশে ছোট্ট একটা টেবল। একটা আয়না-সহ ড্রেসিং টেবিল। আর দেওয়াল লাগোয়া একটা ওয়ারড্রব। ব্যস, এর চেয়ে বেশি কিছু শোয়ার ঘরে না থাকাই শ্রেয়। সেখানে যত আসবাব কম রাখবেন ততই ঘরটি মন খুলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবে। তাছাড়া আসবাব কম থাকলে শোয়ার ঘরে ধুলো-বালি হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
৫. সারাদিনের পরিশ্রমের পর ঘুমটাই যদি মনের মতো না হয়, তাহলে কারই বা ভাল লাগে। তৃপ্তির ঘুমের অভাবে মেজাজটাও খিটখিটে হয়ে যায়। তাই ভাল ঘুমের জন্য তোষক বা ম্যাট্রেসটি ভাল হওয়ার খুবই জরুরি। এবড়ো-খেবড়ো বিছানায় শুয়ে-বসে স্বস্তির চেয়ে বেশি অস্বস্তি হয়। যে বালিশগুলিতে রাতে ঘুমান, সেগুলি দিনের বেলায় নাগালের বাইরে রাখুন। তারা শান্তিতে থাকলে, আপনাকেও শান্তির ঘুম উপহার দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.