দিনের প্রথম খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী খাবেন আর কী খাবেন না, তার ফিরিস্তি শোনালেন তিতাস।
দিন কাকভোরে শুরু হোক বা সকালে, ঘুম থেকে উঠে কী খাবেন – এই নিয়ে আতান্তরে ভোগেন অনেকেই। বিশেষত ইউটিউবার, ব্লগার, ইনস্টাগ্রামারদের ইনফ্লুয়েন্সে সবাই এখন সমান সচেতন। কিন্তু সচেতনতার পাশাপাশি আপনাকে নিজের শরীর সম্বন্ধেও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
যেমন ধরুন, সকালে উঠে আপনি ওয়ার্ক আউট করেন কি না, আপনার শরীরে কোনও রোগ আছে কি না, যার দরুন আপনি খালি পেটে ওষুধ খান, ওজন বাড়া বা কম ওজনের সমস্যা আছে কি না-প্রতিটা ফ্যাক্টরই গুরুত্বপূর্ণ, আর এর ভিত্তিতেই বদলে যাবে আপনার সকালের প্রথম খাবার।
[আরও পড়ুন: এই কারণগুলির জন্য বিরাট কোহলির রেস্তরাঁয় আপনাকে যেতেই হবে]
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্ক আউট করার আধঘণ্টা আগে থেকে কিছু না খাওয়াই উচিত। সুতরাং সকাল ৭ টা আপনার জিম শিডিউল হলে সকাল ৬ টায় আপনাকে হালকা কিছু খেতে হবে। একটা কলা অথবা একটা স্লাইস টোস্ট বা ১/৪ কাপ বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। যারা ওয়ার্ক আউট সেরে সোজা অফিস পাড়ি দেন, তাঁরা ব্রেকফাস্ট সেরে নিতে পারেন সকালেই। তবে সেক্ষেত্রে হালকা খাবার খেতে হবে।
তালিকায় থাকবে
১ টা সেদ্ধ ডিম, সঙ্গে একটা টোস্ট, ১ টা কলা ও ১ চা চামচ পিনাট বাটার। একটা আপেল, সঙ্গে ১ চা চামচ পিনাট বাটার, ১ স্লাইস জ্যাম টোস্ট। ১/৪ কাপ ওট্স ও সঙ্গে এক স্লাইস ফল, ১/২ কাপ দুধ ও একটা কলা। তবে ঘড়ি ধরে ওয়ার্ক আউটের একঘণ্টা আগে ব্রেকফাস্ট করে ফেলতে হবে।
যাঁরা ওয়ার্ক আউট করেন না জিমে, কিন্তু বাড়িতে যোগব্যায়াম করেন বা হাঁটতে বেরন অথবা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন তাঁরা একটা কলা অথবা ৬-৭ টা ভেজানো কিশমিশ খেতে পারেন। সকালে উঠে এক গ্লাস প্লেন জল খেলে কোনও অসুবিধা নেই। তবে উঠে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস বদলে ফেলাই ভাল। থাইরয়েড পিলস নেন যাঁরা, তাঁরা সকালে উঠে ওষুধ খাওয়ার ৪০ মিনিট পর খাবার খান। ডায়াবেটিস বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে সকালের ওষুধ খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর খাবার খান।
ডায়াবেটিক পেশেন্টরা সকালে যে কোনও একটা মরশুমি ফল বা কলা খেতে পারেন, চা বা কফির বদলে। পরিবর্তে ৪-৫ টা কাঠবাদাম, ২ টো আখরোটও খাওয়া যেতে পারে। অসুস্থতা বা কোনও ওষুধ যদি খেতে না হয়, সেক্ষেত্রে সকালে উঠে ১৫ মিনিটের মধ্যে দিনের প্রথম মিল খেতে হবে। এর অন্যথা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্রেকফাস্ট করতে হবে ঘুম থেকে ওঠার দেড়ঘণ্টার মধ্যে। সকালে উঠে এনার্জির অভাব, ওজন বাড়া বা কমানোর সব ক্ষেত্রেই একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। খালি পেটে কলা-আপেল জাতীয় ফল খেলে কোনও সমস্যা হয় না, বরং উপকারই বেশি।
সকালে উঠেই ডিটক্স ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন। ফলের রস, ব্ল্যাক কফি – এ ধরনের ড্রিঙ্কসও না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ডাক্তারের কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকলে সকালে উঠে কী খাবেন, তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কোনও ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ডিটক্স ড্রিঙ্ক, ওয়াটার জাতীয় ড্রিঙ্কে আপনার শরীরের আদতে লাভ না ক্ষতি, তাও জেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।