সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভগবান কি মানুষের মনের কথা শোনেন? যুক্তির সিঁড়িতে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে বেজায় ঝামেলা। তর্কও বিস্তর। তবে সব তর্কের পরে যা পড়ে থাকে তা হল বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসে ভর করে আজও মানুষ দেবতার স্থানে মাথা ঠেকান। বিপদে-আপদে ভগবানের শরণ নেন। আসলে বিরাট কোনও শক্তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করে হয়তো খানিকটা ভারমুক্ত থাকার চেষ্টা করেন। সংকট মোচনে তাই আজও চলে প্রার্থনা। কিন্তু সে প্রার্থনারও কি বিশেষ কোনও সময় থাকে?
[ নতুন বছরে চিনা রাশিফল দেখে মিলিয়ে নিন আপনি ঠিক কোন ধরনের মানুষ ]
অনেকে বলছেন, দিনের বিশেষ সময় প্রার্থনাতেই ফল মেলে। পালটা যুক্তি দিয়ে কেউ কেউ বলে থাকেন, ভগবানের কাছে প্রার্থনায় আবার বিশেষ সময় কী? তবে কিছু প্রচলিত বিশ্বাস চলে আসছে। প্রাচীন মুনি-ঋষিরা বলদেন, দিনের একটি বিশেষ সময়ে জিভে নাকি স্বয়ং দেবী সরস্বতীর অধিষ্ঠান হয়। তখন যা চাওয়া যায় তাই মেলে। তাই প্রার্থনার হয়তো কোনও সময় নেই। কিন্তু বিশেষ সময়ে প্রার্থনা হতেই পারে। এবং তার বিশেষ মাহাত্ম্যও আছে। সূর্যপ্রণাম আর সন্ধ্যারতির সময় তো এক নয়। তাই সময়ের গুরুত্ব ফেলনা নয়। শাস্ত্র তন্নতন্ন করে খুঁজে এর প্রমাণ খোঁজা বৃথা। তবে পণ্ডিতেরা বলে থাকেন, প্রতিদিনই এরকম একটা বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। যাকে ‘গোল্ডেন মিনিট’ বলা হয়। এবং সে সময়ের প্রার্থনা ফলপ্রসূ হয়।
কী সেই গোল্ডেন মিনিট?
জটিল কোনও অঙ্ক এর পিছনে নেই। সামান্য দিন ও মাসের হিসেব রাখলে প্রতিদিনের সে বিশেষ সময়টিকে খুঁজে পাওয়া যায়। উদাহরণ দেওয়া যাক। এটা আগস্ট মাসের ২১ তারিখ। তাহলে এই দিনে ওই গোল্ডেন মিনিট হচ্ছে ২১.০৮। অর্থা ঘড়িতে ন’টা বেজে ৮ মিনিট। কিংবা যদি দিনটি হয় জুলাই মাসের দশ তারিখ, তাহলে বিশেষ সময়টি হল ১০.০৭। অর্থাৎ ১০ টা বেজে সাত মিনিট সেই বিশেষ সময়, যখন প্রার্থনায় ফল মেলে। কিন্তু যদি ২৫ বা ৩০ তারিখ হয়, তবে এই হিসেব খাটে না। সেক্ষেত্রে একটু উলটো হিসেব করতে হবে। আগে তারিখ পরে মাসের বদলে, সেক্ষেত্রে আগে মাস ও পরে তারিখ ধরতে হবে। অর্থাৎ যদি জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ হয়, তবে সময় হবে ১.২৬ বা ১টা বেজে ২৬ মিনিট।
[ কীভাবে ব্রেকআপেও থাকবেন বিন্দাস? জানুন এই প্রতিবেদনে ]
এই অঙ্কের স্বপক্ষে যদিও সেরকম কোনও যুক্তি নেই। প্রচলিত বিশ্বাস ও কিছু পণ্ডিতদের মতের ভিত্তিতেই এই বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ চিহ্নিত করে থাকেন অনেকে। তবে ওই যে কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহদূর। তাই তর্ক ফেলে পরীক্ষা প্রার্থনীয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.