সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুত্ব-প্রেম-বিবাহ, জীবনের এই ছক বাঁধা নিয়ম পছন্দ নয় অনেকের৷ অন্য পথে হাঁটতে চান তাঁরা৷ অর্থাৎ সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে থাকবেন, কিন্তু জীবন এক গতে বাঁধা হবে না৷ যেহেতু বিবাহ নামক প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে বিশ্বাসী নন তাঁরা, তাই ‘বিবাহবন্ধনে’ আবদ্ধ থাকবেন না তাঁরা৷ অর্থাৎ বাস্তবিক জীবনে ‘লিভ ইন’ করায় বিশ্বাসী তাঁরা৷ সমীক্ষা বলছে, বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই নীতিতে বিশ্বাসী৷ তাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার চেয়ে লিভ ইনকেই বেশি গুরুত্ব দেন তাঁরা। তবে মনোবিদরা বলছেন সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন৷
[ আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ২-এর সাফল্যের সঙ্গে রতিসুখের তুলনা! ব্যাপারটা কী? ]
১৷ আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু অভ্যাস রয়েছে৷ বিয়ের পর যা আমাদের বর্জন করতে হয়৷ অথবা বিয়ের পর এমন কিছু অভ্যাস থাকে, যা আমাদের মেনে চলতে হয় বা আমরা মানতে বাধ্য হই৷ আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, লিভ ইনের ক্ষেত্রে সেই নিয়মে কোনও বদল আসবে, তবে আপনি ভুল ভাবছেন৷ লিভ ইনের ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম থাকে যা আমাদের মেনে চলতে হয়৷
২৷ লিভ ইন মানে দু’জনের পছন্দ এবং অপছন্দ মেনে চলা৷ দু’জনের দু’জনকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন লিভ ইনের সময় সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ, আশা-প্রত্যাশাগুলোর দিকে নজর রাখা অবশ্যই দরকারি৷
[ আরও পড়ুন: আশিতেও ১৮-র শক্তি, হিমালয়ান ভায়াগ্রা যেন পরশ পাথর ]
৩৷ লিভ ইনে থাকার সময় আর্থিক বিষটিও মাথায় রাখা দরকার৷ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কার কতটা দায়িত্ব থাকবে৷ কে, কোন দায়িত্ব পালন করবে, তা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন৷
৪৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ যদি খুব স্বাধীনচেতা হন৷ বারবার সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন, তবে লিভ ইনে জড়াবেন না। সেক্ষেত্রে জটিলতা ও অশান্তি বাড়বে।
৫৷ লিভ ইনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইগো বর্জন করা প্রয়োজন৷