Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sex Toy

যৌনতা নিয়ে ছুঁতমার্গ দূর করতে ‘সাহসী’ ব্যবসা, বাড়িতে সেক্স টয় পৌঁছে দেবেন দম্পতি

বেশ লাভজনক হয়েছে এই অনলাইন ব্যবসা।

Couple Made Start Up for Sex Toys, Wants to Break Social Taboos on Sex | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 20, 2022 2:27 pm
  • Updated:April 20, 2022 2:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর পরে বেশ কিছু নতুন ব্যবসা সাফল্যের মুখ দেখেছে। কিন্তু তার মধ্যে নজর কেড়েছে এক দম্পতির নব্য ব্যবসা। আর পাঁচটা ব্যবসার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। কারণ সমাজের বেশ কিছু ট্যাবু দূর করতে চেষ্টা করছে এই সংস্থা। ভারতে যৌনতা সম্পর্কে বেশ কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। সেগুলিও ভাঙতে চাইছেন অনুষ্কা এবং সাহিল গুপ্ত নামে এই দম্পতি। অনলাইনে বিভিন্ন সেক্স টয়ের (Sex Toy Business) ব্যবসা করেন তাঁরা। তাঁদের এই উদ্যোগের নাম মাইমিউজ। 

খোলাখুলি ভাবে যৌনতা সংক্রান্ত আলোচনা করা আজও সমাজে খারাপ চোখেই দেখা হয়। সেই প্রসঙ্গে অনুষ্কা জানিয়েছেন, “আমাদের শরীরের গোপন স্থানগুলিতে ব্যবহারের জন্যও কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই জিনিসগুলি প্রকাশ্যে কেনাবেচা করতে অনেকেই লজ্জা বোধ করেন। এই জিনিস কিনতে অপরাধবোধ কাজ করে, সম্মানহানির আশঙ্কা করেন অনেকেই। এই মানসিকতা বদলাতে চাই আমরা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি’, মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাকে কেন আচমকা ফোন?]

নিজেদের নতুন এই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে খুব সরল ভাষায় বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে চান যেন যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। মাইমিউজের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে টিন্ডার, বাম্বল-সহ বেশ কিছু ডেটিং অ্যাপ। ইনস্টাগ্রামেও বেশ পরিচিতি পেয়েছে দম্পতির নতুন এই ব্যবসা। অনুষ্কা এবং সাহিল চান, শহরবাসী তরুণ পেশাদার প্রজন্ম যেন যৌনতা সংক্রান্ত ছুঁতমার্গ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের মতে, “যৌনতা কোনও খারাপ কাজ নয়। অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং সুন্দর ঘটনা এটি। তাই আমরা চাই যেন এই ধারণা অযথা বিকৃত করা না হয়।”

Advertisement

এই ছক ভাঙা ব্যবসা বেশ লাভজনক বলেই জানিয়েছেন অনুষ্কা এবং সাহিল। যেহেতু এই ব্যবসা খুব একটা প্রচলিত নয়, তাই বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরাও এই ব্যবসায় উৎসাহী হচ্ছেন। লকডাউনের সময় বাড়ি থেকে শুরু করা হয়েছিল এই ব্যবসা। এখন দেশের প্রায় ২০০ টি শহরে জিনিস পাঠাচ্ছেন এই দম্পতি। তবে এখনও ভারতে মানব অঙ্গের মতো দেখতে জিনিসের ব্যবসা আইনত অবৈধ। দেশের অধিকাংশ মানুষ এই ধারণার সঙ্গে অভ্যস্ত নন। সেই কথাও মাথায় রয়েছে মাইমিউজের কর্তৃপক্ষের। ভারতীয় মেয়েরা যথাযথ যৌন শিক্ষার অভাবে সমস্যায় পড়েন বলেই মনে করেন অনুষ্কা। তাই সমাজে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তিনি আশা করেন, যৌনতা সংক্রান্ত জিনিস নিয়ে ব্যবসার পরিবেশও তৈরি হবে।

[আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহেই ইউরোপ সফরে মোদি! যেতে পারেন তিন দেশে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ