সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুণীজনেরা বলেন প্রেম বড়ই জটিল জিনিস। কারণ প্রেম করতে গেলে লাগে বুদ্ধি, ধৈর্য্য, ত্যাগ এবং সহ্যশক্তি। তবে এই বিষয়গুলি শুধু একজনের মধ্যেই থাকলে হয় না। থাকতে হবে দুজনের মধ্যেই।কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়া যদি ঠিক না থাকে তবে পৃথিবীর কোনও সম্পর্কই ধরে রাখা সম্ভব নয়। তবে অনেকেই আছেন, যারা শুধুমাত্র সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ভয়ে প্রথম দিকে অনেক কিছু মেনে নেন বা মানিয়ে নেন। কিন্তু কিছুদিন কেটে গেলেই এটা নিয়ে মনের মধ্যে জমতে থাকে ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভই একসময় তীব্ররূপ নিয়ে ভেঙে দেয় সম্পর্ক। তাই শুরুর দিন থেকে যে কোনও সম্পর্কের কয়েকটা দিক মাথায় রাখা জরুরী। যাতে পরবর্তীকাল সেগুলোই মহীরুহ হয়ে সম্পর্কে ভাঙ্গনের কারণ না হয়।
১. মিথ্যা – সঙ্গীকে খুশি করতে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো মিথ্যা বলতে হয়, তবে তাই বলে গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়ে মিথ্যা বলা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই যেকোনও ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি সহ্য করবেন না। কারণ, কেউ একবার মিথ্যা কথা বলে পার পেয়ে গেলে বারবার মিথ্যা কথা বলবে।
২. প্রতারণা – সঙ্গী যদি প্রতারণা করে, তবে এই ভুল কোনওভাবেই সহ্য করবেন না। এ বিষয়ে আপনি যদি তাকে ক্ষমা করে দেন, তবে তার অর্থ হবে আপনি তাঁর প্রতারণা মেনে নিলেন। আর মেনে নেওয়ার অর্থ তাঁকে এই ভুলে করার সুযোগ দ্বিতীয়বার করে দেওয়া।
৩. নির্যাতন – অনেকেই আছেন যাঁরা সঙ্গীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সেই নির্যাতন হয় মানসিক। এ ধরনের সঙ্গীর সঙ্গে জীবন কাটানো সত্যি কষ্টকর। তাই এমন কিছু ঘটলে মোটেই চুপ করে থাকবেন না। অবশ্যই এর প্রতিবাদ করবেন।
[দিনের কোন বিশেষ সময় প্রার্থনায় যা চাওয়া যায় তাই মেলে?]
৪. অসম্মান – পরিবারের বা বাইরের লোকদের সামনে অনেকেই অসম্মান করে কথা বলেন। এটা খুবই লজ্জাজনক। সঙ্গী এমন আচরণ করলে কখনওই তা মেনে নেওয়া উচিত নয়।
৫. বাধা – সকলেরই নিজস্ব কিছু স্বপ্ন থাকে। আর ভাল সঙ্গী কখনওই আপনার স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। বরং আপনাকে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেবে। কিন্তু যখন দেখবেন সঙ্গী আপনার এ বিষয়ে সমস্যা তৈরি করছে তখন সহ্য না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৬. হস্তক্ষেপ – অনেক সময়ই দেখা যায় সঙ্গী ব্যক্তিগত বিষয়ে বড্ড বেশি হস্তক্ষেপ করছেন। যেমন আপনি কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বা অফিসে কার সঙ্গে চা খেতে যান। এই ছোটখাটো বিষয়গুলি অনেক সময় আপনাদের ঝগড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সব ক্ষেত্রে প্রথমেই রুখে দাঁড়াবেন। নিজের ব্যাক্তিগত বিষয়গুলো একেবারেই আপনার নিজের জিনিস, এগুলোতে একবারেই কাউকে নাক গলাতে দেবেন না।
‘না’ বলতে শিখুন। তাতে যদি আপনার জীবন থেকে কেউ চলে যায়, তার পরোয়া করবেন না। কারণ সব সময় জানবেন যে প্রকৃত আপনাকে ভালবাসবে সে কখনই আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। বরং চেষ্টা করবেন সব সময়, সব বিষয়ে আপনার পাশে দাঁড়ানোর।
[এখন ইচ্ছামতো জাঙ্ক ফুড খেয়েও বাড়তে পারে আপনার বুদ্ধি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.