সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মা’ শব্দটা ছোট হলেও ভাষায় এর পরিধি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! সন্তানের ওপর মায়ের অধিকার, ভালবাসা স্মরণ করানোর জন্য নয় যেমন কোনও নির্দিষ্ট দিনের দরকার হয় না, ঠিক তেমনই মায়ের প্রতি সন্তানের সম্মান প্রদর্শনের জন্যও নির্দিষ্ট কোনও দিনকে বেছে নেওয়াটা ভীষণই অমূলক! কিন্তু প্রত্যেক বছরই একটা নির্দিষ্ট দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস হিসেবে ধার্য করা হয় বিশ্বের সমস্ত মা’দের কুর্নিশ জানাতে। জীবনের মৌলিক স্তরগুলোতে যিনি আমাদের সবথেকে বড় শিক্ষাগুরু, যার হাত ধরে চলতে শেখা, খেতে শেখা, সেই মানুষটির জন্য যা কিছুই করা হোক না কেন, সেটাই লঘু বলেই মনে হয়। কিন্তু মাতৃ দিবস যখন, তখন মা’র জন্য বিশেষ কিছু তো প্ল্যান করাই যায়! তবে এবছর লকডাউনে সব বন্ধ হওয়ায় সেই প্ল্যান যে অন্যান্যবারের তুলনায় খানিক আলাদাই হবে, তা বলাই যায়! অগত্যা, যা করার গৃহবন্দি থেকেই করতে হবে।
ভাবছেন তো যে ঘরে থেকে কী করে আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন করবেন? কুছ পরোয়া নেহি! মা’কে প্যাম্পার করার জন্য বিভিন্ন রকম টিপস দিলাম আমরাই।
হাতে লেখার অভ্যেস আমাদের কবেই ফুরিয়েছে। চিঠির চলও নেই! তবে এই ছোট্ট একটি জিনিসই কিন্তু ভালবাসা প্রদর্শনে অভিনব উপায়। একটা কাগজ নিয়ে শৈশবের কোনও মজাদার স্মৃতি লিখে ফেলুন। শেষে মা’কে এই সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাতে কিন্তু ভুলবেন না।
সকাল সকাল উঠে পড়ুন। ফ্রিজে কি আছে দেখে নিয়ে তার মধ্যেই মায়ের জন্য ব্রেকফাস্ট বানিয়ে দিন। দুপুরের মেনুতেও মায়ের পছন্দের কথা মাথায় রাখবেন। রোজ তো মা-ই ঠিক করেন, কী খাওয়া হবে না হবে! আজ না হয় আপনিই মায়ের কোনও একটা প্রিয় পদ রাঁধুন। রান্না না জানলে ইউটিউব, গুগলের স্মরণাপন্ন হতে পারেন। নাহলে ন’কাকিমা-পিসিমা, মাসিমনি, দিদি, বন্ধুরা তো আছেনই।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে দাদু-দিদিমার গলা জড়িয়ে আদর নিরাপদ? নানা রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ]
মায়েরা সাধারণত বাড়ির কাজ করতে করতে নিজের যত্ন নেন না। শেষ কবে ফেসিয়াল করেছেন কিংবা নেলপালিশ ব্যবহার করেছেন, সেই হিসেবও দিতে পারবেন না জিজ্ঞেস করলে বোধহয়! তাই আপনিই মায়ের বিউটিশিয়ান হয়ে যান। ঘরোয়া উপায়ে প্যাডিকিওর-ম্যানিকিওরের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। জেনে নিয়ে মাকে সঙ্গে করে বসে পড়ুন।
দুপুরে লাঞ্চ সেরে মায়ের প্রিয় কোনও ছবি নেট ঘেঁটে বের করে ফেলুন। এরপর বালিশ নিয়ে আরাম করে দুজনে মিলে সিনেমা দেখুন। বিকেলের চায়ের দায়িত্বটাও না হয় আপনিই নিলেন। মায়ের সঙ্গে ফুলগাছে জলও দিতে পারেন।
ভাই কিংবা বোন বাইরে থাকলে, তার থেকে মায়ের জন্য একটা ভিডিও চেয়ে পাঠান। এরপর শৈশবের কিছু ছবির সঙ্গে ভিডিও কোলাজ করে মাকে দেখান। আজকাল অনেকরকম অ্যাপই রয়েছে, যেগুলো দিয়ে আপনি নিজেই এডিট করতে পারবেন। মায়ের পছন্দের গান শুনুন। হাজার মতের অমিল থাকলেও পছন্দের অমিল থাকলেও একটা দিন না হয় মায়ের ভাললাগা না-লাগা নিয়েই কাটালেন। তাছাড়া অন্যান্য বছর তো দামি রেস্তরাঁয় খাবার, শপিং ছাড়া মাতৃ দিবস পালন হয় না, তাই সেসবের মাঝে এই ছোট ছোট অনুভূতিগুলো চাপা পড়ে যায়। এবার যখন সুযোগ রয়েছে, মায়ের মতো করে বাড়িতে একদিন কাটানোর কাটিয়েই নিন।