Advertisement
Advertisement
Adult toy shop

খুলতে না খুলতেই বন্ধ হয়ে গেল দেশের প্রথম সেক্স টয়ের দোকান! কেন জানেন?

বুধবারই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকানটি।

India’s first ‘legal’ adult store shuts shop due to lack of trade licence | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 18, 2021 3:52 pm
  • Updated:March 18, 2021 3:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুলতে না খুলতেই বন্ধ হয়ে গেল দেশের প্রথম সেক্স টয় শপ (Adult toy shop)। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ার (Goa) কালাঙ্গুটে অঞ্চলের ওই দোকানের ছবি রাতারাতি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও মাসখানেক যেতে না যেতেই ঝাঁপ পড়ে গেল সেই দোকানের। কিন্তু কেন?

কালাঙ্গুটে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স না থাকার কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকানটি। তবে প্রশ্ন উঠছে, সবটাই কি শুষ্ক বাণিজ্যিক আইনভঙ্গ? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে এমন সরঞ্জামের দোকান নিয়ে নাগাড়ে আপত্তি উঠতে থাকাতেই নাকি তা বন্ধ করে দেওয়া হল।

Advertisement

[আরও পড়ুন : পদ খোয়াতে হলেও কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করব, বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল]

‘কামা গিজমোজ’ নামের ওই দোকান খোলার পর থেকেই তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। দোকানটির ছবিও ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে অতিমারীর সময়ে অনলাইনে সেক্স টয় বিক্রি ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল দেশে। হয়তো সেদিকেই চোখ রেখে এই ধরনের সরঞ্জাম বিক্রির অফলাইন স্টোর খোলার কথা মাথায় আসে ‘কামারকাট’ ও ‘গিজমোজওয়ালা’ নামের সেক্স টয় ব্যবসায়ীর। দুই সংস্থা যৌথ ভাবে দোকানটি খোলার পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে রীতিমতো ভাল ব্যবসা করার পর গোয়ার এই গ্রামে দোকানটি খোলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

Advertisement

কিন্তু সেই দোকান চলল না। দেশের প্রথম ‘বৈধ’ সেক্স টয় শপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বুধবার। দোকান বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ইনস্টাগ্রাম পেজটি উধাও হয়েছে। ওয়েবসাইটটিও বন্ধ। দোকানের সাইনবোর্ডে দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করলে জানা যাচ্ছে, সেটিও সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে।

[আরও পড়ুন : পুরনো সম্পর্ক বিবেচিত নয়, প্রতিবার যৌন সম্পর্কেই লাগবে সম্মতি, রায় আদালতের]

প্রসঙ্গত, দোকানটি খোলার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল, এমন ধরনের দোকান কি এদেশে খোলা যায়? যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে এমন কোনও আইন নেই যা এই ধরনের দোকানের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলে। তবে গ্রামের মধ্যে এই ধরনের দোকান নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল বহু গ্রামবাসীর। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, বহু স্থানীয় মানুষ এই ধরনের দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ