সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসারে সুখ সকলেরই কাম্য। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে শান্তিতে থাকতেই ভালবাসেন মানুষ। কিন্তু ভাগ্যচক্রে প্রতিটি দিন তো আর একইরকম হয় না। তবে শ্রাবণ মাসে সুখে-শান্তিতে থাকার কিছু বিশেষ উপদেশ দিচ্ছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞ আশনা ধনক। এ মাস ভগবান শিবকে তুষ্ট রাখার। তাই দেব-দিজে বিশ্বাসীরা এসব পরামর্শ মেনে চলতেই পারেন।
পুরাণ অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসেই সমুদ্র মন্থন করা হয়েছিল। বিশ্বকে বাঁচাতে মন্থনে উঠে আসা বিষ নিজের গলায় ধারণ করেছিলেন শিব। সেই বিশ্বাসেই আজও হিন্দুরা যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মহাদেবেরই শরণাপন্ন হয়। তাই শ্রাবণ মাসে কী কী আচার-নিয়ম পালন করলে মহাদেবকে তুষ্ট করে পরিবারকে বিপন্মুক্ত রাখা সম্ভব, তাই জানাচ্ছেন আশনা ধনক।
১. শ্রাবণ মাসে সৌভাগ্য ফেরাতে বাড়ির পূর্ব দিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সম্ভব হলে ঘরের পূর্ব কোণে একটি ছোট ঝরনা জাতীয় শো-পিস রাখতে পারেন। জলের গতি ধারা যেন উত্তর থেকে পুবের দিকে হয়। বাস্তু মতে জলের প্রবাহই বয়ে নিয়ে আসে সৌভাগ্য। তবে সময়ে সময়ে জলটি বদলে দেবেন যাতে জীবাণু বাসা না বাঁধে। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে নিয়ম মেনে চললে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদারি জীবনে যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
২. ঈশ্বরে বিশ্বাসীরা অনেকেই বাড়িতে শিবলিঙ্গর পুজো করে থাকেন। তবে বাস্তু অনুযায়ী শ্রাবণ মাসে বাড়িতে একটি বিশেষ শিবমূর্তি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ আশনা। তাঁর মতে, বাড়ির পূর্ব দিকে মার্বেলের তৈরি শিবের অর্ধনারীশ্বর অবতারের মূর্তি রেখে পুজো করলে ভাগ্য সহায় হয়।
৩. বাড়িতে তুলসি গাছ আছে? না থাকলে তুলসির চারা রোপনের এটাই আদর্শ মাস। বাড়ির উত্তর দিকে রাখবেন তুলসি গাছ। এসে বাড়িতে শুভ শক্তির আগমন ঘটে। বলা হয়, অবিবাহিত মহিলারা বিয়ের জন্য ভাল পাত্রের সন্ধানও পান।
৪. শাস্ত্র মতে, ধুতরো ফুলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব। তাই শিব পুজোয় এই ফুল ব্যবহার করতেই পারেন। শ্রাবণ মাসে ধুতরো ফুলে পুজো করলে যে কোনও ভয় বা আতঙ্ককে জয় করা সম্ভব। দুশ্চিন্তা দূর হয় ও মনে শান্তি ফেরে।
৫. শ্রাবণ মাসে মহাদেবের পুজোর জন্য অনেকেই সোমবার করে উপবাস করে থাকেন। বাস্তু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এ অভ্যাসে ভাল ফলই মেলে। শান্তি ও সাফল্যের জন্য পুজোয় দই ও মধুর সঙ্গে ঠান্ডা দুধ, জল এবং বেল পাতাও ব্যবহার করুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.