সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতে একটু অসতর্ক হলেই সর্দি, কাশি। হতে পারে ফুসফুসের সমস্যা বা ব্রঙ্কাইটিস। কারণটা শুধু কম তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়াই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী দূষণ ও ধূমপান। জেনে নিন ব্রঙ্কাইটিস কী ও কীভাবে এই মরশুমে সুস্থ থাকবেন।
ব্রঙ্কাইটিস কী
ব্রঙ্কাইটিস হল ফুসফুসের মধ্যে শ্বাসনালীর প্রদাহ। এর ফলে শ্বাসনালীর ঝিল্লিপর্দা ফুলে যায়, অতিরিক্ত মিউকাস (শ্লেষ্মা) তৈরি হয় এবং শ্বাসনালীর পথ সরু হয়ে যাওয়ায় বায়ু চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, সোঁ সোঁ শব্দে শ্বাস নেওয়া ছাড়াও কাশির সঙ্গে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বেরোতে দেখা যায়। এর সঙ্গে ইনফেকশন হলে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এমনকী হাসপাতালে ভরতি হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে।
ব্রঙ্কাইটিস হওয়ার কারণ
ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন, ধোঁয়া বা বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকণা থেকে এমনকী অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে। সংক্রমণ হলে ভাইরাস ঘটিত কারণে অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস হয়।
[চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই পাঁচ ভিটামিন ভুল করেও নেবেন না]
শীতে কেন বেশি
এই সময় তাপমাত্রা কম থাকার পাশাপাশি বৃষ্টিও কম হয়। একইসঙ্গে এই সময় ধুলোর পরিমাণও বেশি থাকে। গাড়ির ধোঁয়া, সিগারেটের ধোঁয়া-সহ যে কোনও বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসে মিশে শীতকালে বায়ুদূষণ বেড়ে যায়। শীতকালে বাতাস ভারী হয় এবং মাটি ঠান্ডা থাকার দরুণ বাতাসের ধূলিকণা মাটির কাছাকাছি উচ্চতায় বেশি ঘনীভূত থাকে।
লক্ষণ
১. গলা ব্যথা ও গলায় ক্ষত অনুভূত হওয়া
২. কাশি, মাঝে মাঝে কাশির সঙ্গে কফ
৩. শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা
৪. নিশ্বাসের সময় সোঁ সোঁ শব্দ
[এবার থেকে নিজের মৃত্যুর দিনক্ষণ আপনি জানতে পারবেন আগেই]
সুস্থ থাকতে
১. শীতের শুরুতে ও শীত বিদায় নেওয়ার সময় বেশি যত্ন নিতে হবে।
২. যাঁরা ইতিমধ্যে ব্রঙ্কাইটিস বা ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত ইনহেলার নিতে হবে কিংবা ওষুধ খেতে হবে। শীতকালে কোনও সমস্যা বোধ করলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩. শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা হলে দূষণযুক্ত এলাকায় বা বেশি ধুলোয় থাকা উচিত নয়।
৪. সর্দি-কাশির ধাত থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৫. ধূমপান করবেন না।
৬. যে কোনও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সবসময় ভালভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
৭. সন্তান গরম পোশাক ঠিকমতো পরেছে কি না খেয়াল রাখুন। বাইরে বেরোলে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিন।
৮. দৈনন্দিন জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা-লেপ-কম্বল নিয়মিত রোদে দিন ও পরিষ্কার রাখুন। কাঠ পোড়ানো, ধূপকাঠি জ্বালানো যতটা সম্ভব কমাতে হবে।
৯. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান এবং বায়ুদূষণ রোধে সচেতনতাবোধ গড়ে তুলুন।