সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর ঘণ্টা কয়েকের বিশ্রাম বলতে তো ওই রাতের ঘুমটুকুই। সেখানেও যদি কেউ জ্ঞান দেয় কীভাবে শোবেন, কেন শোবেন রাগ তো হওয়ারই কথা। কিন্তু, নিজের ভালটাও তো দেখতে হবে নাকি। ডাক্তারবাবুরা কী বলছেন জানেন? এই ঘুমটা শুধুমাত্র আপনার ক্লান্তি কাটানোর দাওয়াই নয়, অনেক কিছু নির্ভর করে আপনি কীভাবে শোবেন তার উপর। আপনার হজম ক্ষমতা বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, পিঠের ব্যাথা সারানো, হার্টের উন্নতি অনেক কিছুই লুকিয়ে রয়েছে আপনি কীভাবে রাতে ঘুমোন তার উপর। আর অবশ্যই যে সমস্যার কারণে আপনার শোবার ঘরের আশপাশে কেউ ঘেঁষতে ভয় পান, সেই নাক ডাকা কমানোর ওষুধও কিন্তু এই শোওয়ার অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। তাই চিকিৎসকরা বলছেন রাতের ঘুমটা বাঁদিক ফিরে ঘুমোন। ঘুমটা তো গভীর হবেই। সমাধান হবে এই সমস্যাগুলিরও…
১. গর্ভবতীদের বেশিরভাগ সময় বাঁদিকে ফিরে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। একটাই কারণ, কার্ডিওভাসকুলার সার্কুলেশন ভাল থাকে। রক্তচলাচল ঠিকমতো হলে ভাবী মা ও শিশু দুজনই সুরক্ষিত। শুধু গর্ভবতীরাই নন, সকলেরই উচিত এই নিয়ম মেনে চলা।
২. রক্তকে বিশুদ্ধ রাখার ক্ষেত্রেও বাঁদিক ফিরে শোওয়া অব্যর্থ। শরীরের বাঁদিকে লিম্ফেটিক সিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয়। ফলে বাঁদিকে ফিরে শোওয়ার ফলে রক্তে আবর্জনার পরিমাণ কম থাকে।
৩. বাঁদিকে ফিরে শোওয়ার ফলে স্পাইনে কম চাপ পড়ে। পিঠের ব্যাথা বা কোমরে ব্যাথা কমানোর ক্ষেত্রে যা বেশ কার্যকরী। বুঝতেই পারছেন ঘুমটা বেশ আরামেই হবে।
৪. বাঁদিকে ফিরে ঘুমোলে পাকস্থলী ও প্যানক্রিয়াস যথাযথ অবস্থায় থাকে। যাদের হজমের সমস্যা হয়, তাদের জন্য এভাবে ঘুমোনোটা বেশ উপকারী। বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটিও কম হয়।
৫. আপনার যদি নাক ডাকার সমস্যা থাকে এটি তবে আপনার জন্য মোক্ষম দাওয়াই। বাঁদিকে ফিরে শোওয়ার ফলে জিভ এবং গলা অনেক রিল্যাক্সে থাকে। ফলে নাক ডাকার সমস্যা থাকে না। শ্বাস নিতেও সুবিধা হয়।
৬. গবেষকরা বলছেন, ব্রেন ভাল রাখার জন্য বাঁদিকে ফিরে শোওয়া উচিত। কারও অ্যালঝাইমারের সমস্যা থাকলে তাও কমে।