সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। না মনের মতো সাজগোজ করে শান্তি, না খেয়ে শান্তি। ঘুরে বেরানোর কথা তো ছেড়েই দিলাম। একমাত্র বাড়িতে পাতলা বহু ব্যবহৃত পুরনো পোশাকটাই এখন সবথেকে আপন। এটি বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বলে তো ঘরে বসে থাকলে চলবে না। অফিস কাছারি, কলেজ, প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বেরতেই হবে। এই ঠাঁটাপোড়া রোদ্দুরে বাইরে বেরলে তো পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত। বাইরেও বেরোবেন, আবার ঝাঁ চকচকেও থাকবেন। তাহলে তো আপনার ব্যাগে এই জিনিসগুলি রাখতেই হয়।
গরমে বাড়ির বাইরে পা দিতেই বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। আগের দিন ট্রেনে ঘেমে নেয়ে ওঠা সহযাত্রীর গায়ে গা লেগে যাওয়ার পর থেকেই কী অস্বস্তি। উফঃ, হাতটা চটচটে হয়ে রইল গোটা দিন। হাত ধুয়েও যেন শান্তি হল না। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে হাত দিয়ে খেতেও ইচ্ছে হল না। এই সমস্যা তো আর প্রতিদিন বয়ে বেড়ানো যায় না। তাই এই গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখতে সঙ্গের ব্যাগটিতে একটি পকেট ফ্রেন্ডলি হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতেই হবে।
সময়ে কাজের জায়গায় পৌঁছে যেতে আমরা সবাই-ই চাই। কিন্তু গরমে হাসফাঁস করতে করতে যখন অফিসে গিয়ে পৌঁছান, তখন তো মনে হয় একটা শাওয়ার নিলে বেশ হত। কিন্তু তাতো আর সম্ভব নয়। তাই মন্দের ভাল বডি-স্প্রে। ঘাম শুষে নেওয়া মৃদু গন্ধের বডি স্প্রে বা পারফিউম কিছুক্ষণের জন্য আপনার অস্বস্তিকে ভুলিয়ে দিতেই পারে। প্রিয় গন্ধ হলে তো কথাই নেই। বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে হ্যান্ডব্যাগে থাকুক পছন্দের পারফিউম।
কড়া রোদে শুধু বিরক্তি নয়, মাথাব্যথাও বাড়তে পারে। তাই ফ্যাশনেবল স্কার্ফও ব্যাগ থেকে বের করে মাথায় জড়িয়ে নিন। ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে যেমন রেহাই মিলবে, তেমনই ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়বেন। চোখে হাল ফ্যাশনের কোনও সানগ্লাস থাকলে তো কথাই নেই। আপনিই তখন মধ্যমণি। অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখটাও বাঁচবে। এই রোদ্দুরকে বলে বলে ছক্কা মারতে গেলে ব্যেগে কিন্তু স্কার্ফ ও সানগ্লাস চাইই চাই।
জল ছাড়া জীবন তো চলতেই পারে না। এই গরমে বারবার পিপাসার্ত হওয়া শুধু মুহূর্তের অপেক্ষা। গরমে তেতেপুড়ে একটু ছায়ার নিচে দাঁড়ালেই মনে হয় একগ্লাস ঠান্ডা জল হলে মন্দ হয় না। এখনকার দুপুরে এর থেকে শান্তি আর কিছুতেই নেই। তাই বলে বাইরে যেখানে সেখানে জল খেয়ে শরীর খারাপ করার কোনও মানে হয় না। ব্যাগেই রাখুন বিশুদ্ধ জলের বোতল। তাহলে পিপাসায় চাঁদি ফাটার পরিস্থিতি তৈরিই হবে না।
রোদ্দুরে বাইরে বেরোবেন আর ট্যান পড়বে না, তাতো হয় না। ছাতা, সানগ্লাস থাকলেও তেতেপুড়ে কালো হয়ে যাওয়া মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্যদেবের যা গতি তাতে এত সহজে ত্বককে বাঁচাতে পারবেন না। একটাই উপায় ত্বককে স্বস্তি দিতে ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। সেটি যেন এসপিএপ-৩০ বা তার বেশিমাত্রায় হয়। নাহলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি তো কোন ছাড় কালচে ছোপকেও আটকাতে পারবেন না। তাই এইবেলা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখুন সাধের সানস্ক্রিন। শাওয়ার নিতে না পারলেও শরীরকে এটুকু স্বাচ্ছন্দ অন্তত বাড়ির বাইরে দেওয়াই যায়। তাই না?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.