সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত ছবি ও মেসেজ যদি প্রকাশ্যে আনতে কোনও সমস্যা না থাকে, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে যান। নতুবা অ্যাপটি ডিলিট করুন।” এমনই বিস্ফোরক পোস্ট করলেন টেলিগ্রাম অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা পরেল ডুরোভ। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের যতদ্রুত সম্ভব অ্যাপটি স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গোপনে প্রত্যেক ইউজারের উপর নজরদারি চালাচ্ছে এই মেসেজিং অ্যাপ।
টেলিগ্রামের মালিকের অভিযোগ, ফেসবুকের এই মেসেজিং অ্যাপটিকে চর হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। এটি ভাইরাসের মতো ঢুকে ফোনের সমস্ত গোপন তথ্য জোগাড় করে নেয়। ধরুন কোনও ছবি বা মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি কিংবা আসেনি, অথচ সেটি আপনার ফোনে রয়েছে। সেই সমস্ত মেসেজ-ছবিরও সন্ধান পেয়ে যায় এই অ্যাপ। তাই জনপ্রিয় অ্যাপটি হ্যান্ডসেটে রাখলে ক্ষতি বই লাভ কিছুই হবে না। বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে এভাবেই একহাত নেন ডুরোভ।
[আরও পড়ুন: বকেয়া সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া]
তিনি লেখেন, “হোয়াটসঅ্যাপকে নিজেদের মালিকানাধীন করার আগে নজরদারি প্রোগ্রামের অংশ ছিল ফেসবুক। কেউ যদি মনে করেন, কোম্পানি তার পলিশি বদলে ফেলেছে, তাহলে ভুল ভাবছেন। হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতার বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। অ্যাপটি ফেসবুককে বিক্রির সময় বলেছিলেন,’আমি ইউজারদের ব্যক্তিগত জীবন বিক্রি করে দিলাম।’ তাই এটি ডিলিট করে দিন।”
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের ইউজার সংখ্যা ১.৬ বিলিয়ন। সেখানে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারী ২০০ মিলিয়ন। অর্থাৎ জনপ্রিয়তার নিরিখে হোয়াটসঅ্যাপের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে টেলিগ্রাম। তাই হোয়াটসঅ্যাপের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এমন অভিযোগ আনছেন ডুরোভ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও এখনও পর্যন্ত মার্ক জুকারবার্গের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সম্প্রতি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছিল হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে। যে কারণে ইউজারদের অ্যাপটি আপডেট করার পরামর্শ দেয় সংস্থা।