সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই প্রথম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিল, ৫০ নয়, অন্তত ৮৭ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি গিয়েছে। বুধবার বিশ্বের এক নম্বর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি স্বীকার করল, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা অবৈধভাবে ফেসবুক ইউজারদের ওই সব তথ্য চুরি করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম তথ্য চুরির কথা স্বীকার করল সংস্থাটি। এর আগে একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অন্তত ২৭ লক্ষ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি গিয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি কুইজ অ্যাপ ডাউনলোড করতে উৎসাহ দেয় ফেসবুক ইউজারদের। পার্সোনালিটি কুইজের ওই অ্যাপ যাঁরা ডাউনলোড করেছিলেন, সেই সব মার্কিন গ্রাহক ও তাঁদের পরিচিত, বন্ধুবান্ধবদের ব্যক্তিগত তথ্য সংস্থাটি চুরি করেছে বলে এদিন স্বীকার করে নেয় মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা।
[তথ্য চুরির শঙ্কায় ভুগছেন! জানেন ফেসবুক ও গুগল আপনার সম্পর্কে কী কী জানে?]
প্রথমে অবশ্য আন্দাজ করা হয়েছিল যে ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য চুরি গিয়েছে। এবার জানা গেল সংখ্যাটা আরও বেশি। এখন থেকে নিউজ ফিডের গোড়াতেই ইউজারদের এই তথ্য জানিয়ে সতর্ক করে দেবে ফেসবুক। সেই সঙ্গে ইউজারদের সতর্ক করে দেওয়া হবে, এই জাতীয় কোনও থার্ড পার্টি কুইজ অ্যাপে যেন কেউ নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য না জানান। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে নিউজ ফিডের গোড়াতেই এই সতর্কীকরণ দেখতে পাওয়া যাবে।
তথ্য চুরির অভিযোগে আসন্ন সপ্তাহেই মার্ক জুকারবার্গকে মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হবে। সেখানেই ফেসবুকের তথ্য সংক্রান্ত নীতি নিয়ে জবাবদিহি করতে হতে পারে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে, কী কী শর্ত পূরণ করলে ফেসবুকে থার্ড পার্টি অ্যাপকে জায়গা দেওয়া হয়! তবে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফেসবুক তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু যেভাবে ফেসবুকের বাজারদর ক্রমশ পড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে বড়সড় কোনও রদবদল না আনলে সংস্থাটি জনপ্রিয়তা হারাতে পারে বলেই বাজার বিশেষজ্ঞদের অনুমান। তবে জুকারবার্গ একথাও বলেছেন, যে এখনই ফেসবুকের মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না। তিনিই সংস্থাটি চালানোর পক্ষে সেরা ব্যক্তি, জোর গলায় একথা বলেন জুকারবার্গ।