সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন সাংবাদিকের কাছে সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে নানারকম খবর আসে। অনেক সত্যির ভিড়ে অনেক সময় মিলেমিশে যায় ভুয়ো খবরও। আর সেই ভুয়ো খবরের রমরমা আটকাতেই হাত মেলাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি। ফেসবুক, গুগল, টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘দ্য ট্রাস্ট প্রোজেক্ট’। খবরের কাগজ ছাড়াও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও পাঠক খবরের সন্ধান করেন। আর তাকেই বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে ‘দ্য ট্রাস্ট প্রোজেক্ট’।
[নির্বাচনের আগেই গুজরাটে ছড়াল বিস্ফোরক ভিডিও]
সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কুলা সেন্টার ফর অ্যাপ্লায়েড এথিক্স-এর সাংবাদিক স্যালি লেহরম্যান এই উদ্যোগ নিয়েছেন। খবরের সত্যতা ছাড়াও খবরের সূত্র জানতে কোনও পাঠক আগ্রহী হলে তাও এবার থেকে সহজেই জানা যাবে। শুক্রবার থেকেই এই সংক্রান্ত একটি জরুরি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে ফেসবুকের নিউজ ফিড-এ ও নোটিফিকেশনে। প্রত্যেক খবরের পাশে থাকবে একটি আইকন। আইকনে ক্লিক করলেই সেই খবর যে সংস্থার তার যাবতীয় তথ্য, এবং নির্দিষ্ট সাংবাদিক কোন্ জায়গা থেকে, কীভাবে সেই খবরটি জোগাড় করেছেন তারও বিশদ তথ্য পাওয়া যাবে।
সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের বহু প্রথম সারির সংবাদ সংস্থা তাদের খবরের পাশে ‘ট্রাস্ট ইন্ডিকেটর’ ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। গুগল, ফেসবুক, টুইটার এবং বিং প্রত্যেকেই এই সূচক ব্যবহার করতে রাজি হয়েছে। সাংবাদিকতার গুণগতমান আরও উন্নততর করার পক্ষে সবাই কাজ করতে চান।’ চলতি মাসেই ট্রাস্ট ইন্ডিকেটর বা বিশ্বাস সূচক ব্যবহার করা শুরু করবে ‘জার্মান প্রেস এজেন্সি ডিপিএ’, ‘দ্য ইকনমিস্ট’, ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’, ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নাল রিভিউ’, ইতালির ‘লা রিপাবলিকা’, ‘লা স্টাম্পা’, ‘ট্রিনিটি মিরর’ এবং ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’।
গুগল সংস্থার নিউজ প্রোডাক্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড গিংগ্রাস জানিয়েছেন, উন্নতমানের সাংবাদিকতার গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে। তারা চেষ্টা করবেন যাতে গুগল নিউজের প্রত্যেক আর্টিকলে ‘ট্রাস্ট ইন্ডিকেটর’ ব্যবহার করা যায়। ফেসবুকের নিউজ প্রোডাক্টের প্রধান অ্যালেক্স হার্ডিম্যান জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকে প্রত্যেক দিন মানুষ যে খবর দেখেন তার গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে ট্রাস্ট ইন্ডিকেটর।’