সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত পাক সম্পর্কের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। সীমান্ত সমস্যায় কার্যত জেরবার নয়াদিল্লি। একদিকে, চিনের চোখরাঙানি, ডোকলাম ইস্যু, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত গুলি বিনিময়। তাই আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ভারতের বলে মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
[সেনার ফাঁদে পা দিয়ে নিকেশ দুই হিজবুল জঙ্গি]
তাই শত্রুদেশের সেনাবাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি করতে এবার রিয়েল টাইম স্যাটেলাইটের সাহায্য নিতে চলেছে ভারত। মূলত বিএসএফ, আইটিবিপি ও এসএসবির জওয়ানদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই স্যাটেলাইটের সাহায্য নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও চিনের সেনাবাহিনীর উপর নজর রাখা যাবে। জঙ্গি অনুপ্রবেশের বিষয়টিও ধরা পড়বে এতে। কোনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে এবং সীমান্ত এলাকার মানচিত্র বুঝতে সুবিধা হবে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে বিদেশি শক্তির সীমান্ত বরাবর আনাগোনা বা জমায়েত, সবই ধরা পড়বে এই স্যাটেলাইটে।
[মায়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গণধর্ষণ ১১ বছরের নাবালিকাকে]
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৈঠক হয়েছে বিএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি ও ইসরোর অফিসারদের। আর সীমান্তে নজর রাখতে ঠিক কতগুলি স্যাটেলাইট প্রয়োজন সেবিষয়েও আলোচনা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাব প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলেই সূত্রের খবর।
মোট ১৩টি স্যাটেলাইটে শত্রুপক্ষের উপর নজর রাখে সেনাবাহিনী। এইসব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সীমান্তের মানচিত্র দেখা যায়, সীমান্তের ওপারে নজরদারি চালানো যায়, সমুদ্রেও থাকে কড়া নজর। পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে ঘোরাফেরা করে এইসব রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১২০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা এই স্যাটেলাইট পৃথিবীর উপর নজরদারি চালাতে সাহায্য করে।
[৪৫ নয়, এবার ইউরোপ উড়ে যান মাত্র ১২ হাজার টাকায়]
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরণের স্যাটেলাইট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে সুবিধা করে দেবে। সেনাবাহিনী অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের স্যাটেলাইটের উপর নির্ভর করে। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলিকে এখনও ‘র’, আইবি-র মত গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করতে হয়। পাশাপাশি, লাদাখ, সিকিম, অরুণাচল কিংবা কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অংশে থেকে সবসময় যোগাযোগ করাও সম্ভব হয় না। স্যাটেলাইট টেকনোলজি ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে এইসব প্রতিবন্ধকতা কাটবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।