সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা। আর সস্তার ইন্টারনেটের যুগে আগের তুলনায় বর্তমানে স্মার্টফোনের সঙ্গেই কেটে যায় অনেকখানি সময়। কিন্তু এর উপকারিতার পাশাপাশি যে অপকারিতাও রয়েছে, তাও তো ভুলে গেলে চলবে না। স্মার্টফোনের তেজস্ক্রিয় রশ্মি মানুষের শরীরের নানা ক্ষতি করে। একাধিক অসুখের জন্ম দিতে পারে এই রেডিয়েশন। এমনকী মারণরোগ ক্যানসারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
তাই যে সে স্মার্টফোন ব্যবহার করলেই তো হবে না। নিজের ভাল চিন্তা করে যতটা সম্ভব এই তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে দূরেও থাকাটাও জরুরি। এক একটি স্মার্টফোনের বিকিরণের পরিমাণ এক একরকম। কোনও ফোন আপনার শরীরের বেশি ক্ষতি করে। কোনও ফোন আবার তুলনামূলক কম। সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই এক তালিকা, যেখানে দেখা যাচ্ছে কোন ফোনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কত। তালিকায় মিলিয়ে নিন আপনার স্মার্টফোনটিও আছে কি না।
[আরও পড়ুন: কতটা সুস্থ রয়েছে আপনার হৃদযন্ত্র, জানান দেবে এই নয়া অ্যাপ]
সম্প্রতি স্ট্যাটিস্টা অনলাইনে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে SAR রেডিয়েশন বা স্পেসিফিক অ্যাবসোর্পশন রেট-এর পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে Xiaomi Mi A1। ২০১৭ সালে এই মডেলটি এসেছিল ভারতের বাজারে। প্রতি কেজিতে ১.৭৫ ওয়াট তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটাচ্ছে শাওমি কোম্পানির এই মোবাইলটি। স্ট্যাটিস্টার তরফে জানানো হয়েছে, রেডিয়েশন প্রোটেকশনের জন্য তৈরি জার্মান ফেডেরাল অফিসের কাছে স্মার্টফোনের একটি লম্বা ডেটাবেস রয়েছে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে কোন ফোন কত পরিমাণ রশ্মি বিকিরণ করে। তারাই নিশ্চিত করেছে তালিকায় এক নম্বরে নাম রয়েছে শাওমির মডেলটির। দুই নম্বরেও রয়েছে একই কোম্পানি। শাওমি Mi Max 3 প্রতি কেজিতে ১.৫৮ ওয়াট তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করছে। এছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে সোনি, গুগল, অ্যাপলের মতো নামী কোম্পানির মডেল।
তালিকায় আপনার ফোনটি তো থাকতেই পারে। তাহলে কীভাবে বাঁচবেন এই তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে? কয়েকটি সহজ উপায় আছে। ফোন কানে ঠেকিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার অভ্যাস কমিয়ে ফেলুন। ভয়েস কলের পরিবর্তে চ্যাট বা টেক্সট করুন। ফোনে বেশি কথা বলার প্রয়োজন হলে স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করুন। নম্বর ডায়াল করেই কানে ফোন ধরবেন না। ওদিক থেকে আগে রিসিভ করতে দিন। যেখানে সিগন্যালের সমস্যা রয়েছে, সেখানে ফোন কম ব্যবহার করাই ভাল।