২৪ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ৮ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলেই জানিয়ে দেবে নয়া যন্ত্র

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: December 5, 2017 4:37 am|    Updated: September 21, 2019 11:33 am

This badge will help girl students in school to avoid sexual assualt

নব্যেন্দু হাজরা: বাচ্চার সুরক্ষা এবার তাঁর নিজের হাতেই। ‘স্যার দুষ্টু’ হলে ভয় না পেয়ে শুধু হাত লাগাতে হবে স্কুলের ব্যাজে বা রিস্ট ব্যান্ডে। হাত ছোঁয়ালেই ‘দুষ্টু স্যারের দুষ্টুমির’ কথা জানতে পেরে যাবে গোটা টিচার্স রুম। সেই সঙ্গে বাড়ির অভিভাবকরাও। ফলে এড়ানো যাবে একরত্তির বড় বিপদ। বাঁচানো যাবে সবার শিশুকে। ঘটবে না জিডি বিড়লার পুনরাবৃত্তি। চার বছরের ছোট্ট শিশুর শিক্ষকদের হাতে যৌন হেনস্তার পরই স্কুলে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই দাবি, স্কুলের ভিতরে সিসিটিভি বসানো থাকলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। কারণ শিক্ষকরাও ভয়ে থাকত। কিন্তু তারপরও বহু এলাকা যা সিসিটিভি-র নজর এড়িয়ে যায়। সেখানেই থেকে যায় বিপদের আশঙ্কা। তা এড়াতেই আনা হচ্ছে নতুন ‘কেয়ার অন’।

[নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, ফের বিতর্কে জি ডি বিড়লার প্রিন্সিপাল]

কী এই ‘কেয়ার অন’? জানা গিয়েছে এটি একটি ছোট্ট যন্ত্র। যা আটকে রাখা যাবে স্কুলের ব্যাজে বা রিস্ট ব্যান্ডে। কোথাও কোনও বিপদে পড়লেই ওই ছোট্ট যন্ত্রে হাত ছোয়ালে খবর চলে যাবে টিচার্স রুমে। সেখানে বাজবে সাইরেন। একইসঙ্গে মেসেজ চলে যাবে ওই শিশুর অভিভাবকের কাছেও। কীভাবে? বাজারে ‘কেয়ার অন’ আনছে এক বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থা। তারাই বানাচ্ছে, ব্যাজে লাগানোর যন্ত্র। যে যন্ত্রে হাত দিলেই বার্তা পৌঁছে যাবে অন্যত্র। এড়ানো যাবে বড় বিপদ। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। কারণ বিশ্বব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই মেয়েদের সুরক্ষায় একটি ব্লু-টুথ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেক্ষেত্রে স্কুলছাত্রীদের জন্য এই ‘কেয়ার অন’ আনতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করে কি-না সেটাই দেখার। এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থার ওই কর্তা।

[‘দু-একজনের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তিতে আঘাত করা ঠিক নয়’]

কিন্তু শিশুরা কি এটা ব্যবহার করতে পারবে? যখন তখন যদি খেলা মনে করে এই বোতামে হাত দিয়ে দেয়! সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটা হুট করে চালু করলে হবে না। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্কুলের সঙ্গে এই আধুনিক যন্ত্রটি আনার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। কয়েকটি স্কুল যোগাযোগও করেছে। এবার বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তাঁদের নিয়ে কর্মশালা হবে। সেখানেই পুরো বিষয়টি তাঁদের বুঝিয়ে দেবেন সংস্থার কর্মীরা। সোমবারই মালদহের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসে এই প্রযুক্তি সেখানে চালু করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়ে গিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, প্রশিক্ষকরা এই ছোট্ট যন্ত্রের ব্যবহার বুঝিয়ে দেবেন স্কুলের ছাত্রীদের। যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রয়োজনে কিছুদিনের ট্রেনিংও দেওয়া হবে। এই ‘কেয়ার অন’-এর দাম করা হবে ৯৯৯ টাকা। এক আধিকারিক বলেন, “শুধু স্কুলের মধ্যেই নয়। স্কুল থেকে বের হওয়ার পরও ওই খুদেদের ট্র‌্যাক করতে পারবেন তাঁদের অভিভাবকরা। কারণ জিপিএসের মাধ্যমে ট্র‌্যাক করা যাবে তাঁদের। স্কুল বাস বা গাড়ি যেখানেই থাক না কেন তার অবস্থান জানতে পারবেন তাঁরা। যেহেতু শিশুদের হাতে মোবাইল দেওয়া যাবে না, সেকারণেই ব্যাজে বা রিস্ট ব্যান্ডে লাগিয়ে দেওয়া হবে এই কেয়ার-অন। যা কেয়ার রাখবে সবার।” তাঁর কথায়, চেষ্টা চালানো হচ্ছে খুব শীঘ্রই কেয়ার অন বাজারে নিয়ে আসার। জিডি বিড়লা স্কুলের এই ঘটনা সবাইকে নাড়া দিয়েছে। তাই শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই যন্ত্র আনা হচ্ছে। যা কার্যত ছোট ছাত্রীদের হাতে অস্ত্র হিসাবে থাকবে।

[নৌকায় দোকানি, সাঁকোয় আপনি: মহানগরের নয়া ডেস্টিনেশন ভাসমান বাজার]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে