সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিকে গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা প্রত্যাহার করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ভূস্বর্গে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১২০ দিন। আর এর ফলে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। যা হচ্ছে সংস্থার নিয়ম মেনেই। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী, ১২০ দিন কোনও মেসেজে লেনদেন না হলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর কাশ্মীরিদের সঙ্গে সেটাই হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘এনকাউন্টার দেশের জন্য ভয়ংকর’, হায়দরাবাদের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মানেকা]
বৃহস্পতিবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পর অনেক ব্যবহারকারীই নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্কিনশট পোস্ট করেন। ওই ছবিগুলিতে দেখা যায় কাশ্মীরের নাগরিকরা বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু, পরে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী এটা ঘটছে। কেউ স্বেচ্ছায় গ্রুপ ছাড়ছেন না। এপ্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডে পড়াশোনার জন্য বসবাসকারী এক কাশ্মীরি পড়ুয়া জানান, কাশ্মীরের খবর ও ছবি সংক্রান্ত পোস্টের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। বৃহস্পতিবার দেখি ওই গ্রুপ ছেড়ে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছেন। পরে জানতে পারি ১২০ দিন মেসেজ লেনদেন না হওয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই কথা শোনা যায় প্রবাসী চিকিৎসক মুদাসিরের গলাতেও। এবিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ট্যাগ করে টুইট করেছেন কাশ্মীরের রাজনীতিক শেহলা রশিদও।
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছিল শরীর, উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে ডাইনি ভেবে চম্পট দেয় পথচারীরা]
এপ্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেসবুকের মুখপাত্র জানান, যা হচ্ছে তা সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই ১২০ দিন সক্রিয় না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানেও তাই হয়েছে। নিরাপত্তা ও গ্রাহকদের তথ্য মজুত রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরের মানুষ ক্রমশই ডিজিটাল ইন্ডিয়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে।