সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তা। এমন শব্দের সঙ্গে পরিচিতি ঘটার আগেই তার শিকার হতে হয় এ সমাজের অনেক নারীকেই। দুধের শিশু থেকে বৃদ্ধা, হীনমন্য কিছু পুরুষের যৌন লালসা ছিঁড়েকুড়ে খেয়ে নেয়, তাদের স্বাভাবিক জীবন। পুরুষ সমাজের পাশবিক প্রবৃত্তির সামনে অসহায় হয়ে পড়তে হয় নিরীহ নারী শরীরকে। আর এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির পর যারা প্রাণে বেঁচে যায়, তাদের আবার নতুন লড়াই শুরু করতে হয়। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সমাজের সঙ্গে চোখ মেলানোর লড়াই। সর্বোপরি নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার লড়াই। যা মোটেই সহজ কাজ নয়। মনোবিদদের মতে, যে মহিলা যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণের শিকার, তার পক্ষে নতুন করে কোনও পুরুষকে ভরসা বেশ কঠিন। তাঁর সঙ্গে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন তার চেয়েও বেশি শক্ত। আপনার পার্টনারের ক্ষেত্রেও যদি এমনটা হয়, তাহলে কীভাবে তাঁর পাশে থাকবেন? কীভাবে আশ্বস্ত করবেন যে সঙ্গীনি নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন? নিচের টিপসগুলি মাথায় রাখতে পারেন।
[আপনার যৌনজীবন ধ্বংস করে দিতে পারে পর্নোগ্রফি!]
ভালবাসা মানে তো শুধুই শারীরিক সম্পর্ক নয়। সঙ্গীর ভাল-মন্দ সবটুকু দেখার দায়িত্বই আপনার কাঁধে। তাই সবার আগে তাঁর মন বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি কোন বিষয়টিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন, কোনটিকে ভয় পাচ্ছেন বা বিরক্ত হচ্ছেন, ভালভাবে নজর রাখুন। কারণ আপনার একটা ভুল পদক্ষেপে মানসিক ট্রমায় ভুগতে পারেন পার্টনার। যৌনতা নিয়ে কথা বলার সময় আমি বা তুমি নয়, ‘আমরা’-র ব্যবহার তাঁকে অনেক বেশি শান্তি দেবে। তাঁকে আশ্বস্ত করুন এই বলে, যে আপনাদের হাতে এসবের জন্য অনেক সময় পড়ে আছে। তাই দুজন একসঙ্গে যখন চাইবেন, তখনই হবে। সঙ্গিনী তাহলে নিজেকে কখনও বোঝা বলে অনুভব করেন না।
মিলনের ক্ষেত্রে আপনার হুটহাট সিদ্ধান্ত তাঁকে আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। তাই ধাপে ধাপে পা বাড়ান। এক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলিতে পার্টনার ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন, খেয়াল করুন। সঙ্গম কালে নিরাপত্তা অবলম্বন করাটা কতটা জরুরি এবং আপনি যে সে বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন, তা বোঝান। অনেক সময় সঙ্গিনী হয়তো এসব নিয়ে আলোচনা পছন্দ করবেন না। সেক্ষেত্রে একেবারেই জোর করবেন না।
সঙ্গমের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রতিবার চোখ-কান খোলা রাখা জরুরি। পার্টনার কোনও পরিবেশে মিলনে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন কিংবা কখন বিরতি চাইছেন, তা খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনারই। কোনও নতুন পজিশন ট্রাই করার সময় জিজ্ঞেস করে নিতেই পারে ভালবাসার মানুষটির তাতে কোনও আপত্তি রয়েছে কিনা। এতে ভালবাসার সঙ্গে, বিশ্বাসও নিবিড় হয়।
[ভাল কথা বলতে পারেন, জানেন কেমন হবে আপনার যৌন জীবন?]
নিয়মিত মিলনে পার্টনারের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে অনেক ক্ষেত্রে উলটোটাও হতে পারে। বিষয়টি বিশেষ উপভোগ নাও করতে পারেন তিনি। এক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলুন। কী সমস্যা, কেন সমস্যা তা আলোচনা করুন। মিলনের পজিটিভ দিকগুলি বোঝানোর চেষ্টা করুন। কিন্তু কোনওভাবেই জোর করবেন না। মনে রাখবেন পার্টনারের মন ভাল থাকলেই সম্পর্ক মজবুত হবে।