সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি আর মাছ একে অপরের পরিপূরক। মাছ একমাত্র উপাদেয় হয় বঙ্গ ললনার হেঁশেলেই। তা ঘটি বাঙালের চিরন্তন তরজা ছেড়ে জনপ্রিয় হওয়া চিংড়ি, ইলিশ হোক বা লোটে মাছের পদ। জিভে জল কিন্তু টসকাবেই। এই বর্ষায় যদি ঝুরঝুরে লোটের ঝুরো আপনার পাতে পড়ে তখন কি আর জিওগ্রাফি মেনে প্লেট সরিয়ে রাখতে পারবেন। প্রকৃত খাদ্যরসিক কিন্তু দেশ কালের ভেদাভেদ রাখেন না। রসনা তৃপ্ত করতে একবার চেখেই দেখুন আদি অকৃত্রিম লোটে মাছের ঝুরো।
[সন্ধ্যার স্ন্যাকসে বাড়িতেই তৈরি করুন মুচমুচে ফিশ ফিঙ্গার]
উপকরণ
এক কাপ কাঁটা ছাড়া সিদ্ধ লোটে মাছের টুকরো। এক কাপ পেঁয়াজ কুচি, কুচনো টমেটো এক কাপ, দু’চামচ রসুন কুচি, চারটে কাঁচা লঙ্কা কুচি, এক টেবিল চামচ কুচনো আদা, আধ কাপ সয়াবিন তেল, পরিমাণ মতো হলুদ, দু’ চামচ কুচনো লেবুর খোসা ও লেবুর রস, লবণ, চিনি ও লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদ মতো।
কীভাবে বানাবেন?
সসপ্যানে সয়াবিন তেল গরম হতে দিন। এরপর কুচনো আদা, রসুন ও পেঁয়াজ একত্রে ভাজতে থাকুন। তিনটি উপকরণ বাদামি হয়ে গেলে কুচনো টমেটোর সবটা প্যানে দিয়ে দিন। যখন দেখবেন জল টেনে টমেটোও ভাজা ভাজা হয়েছে লঙ্কার গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে গেলেই লবণ ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মশলাটিকে ভাল করে কষতে থাকুন। যতক্ষণ না তেলে ছাড়ে। কষানো মশলা থেকে তেল ছাড়লেই সিদ্ধ করে রাখা এক কাপ লোটে মাছের সবটাই প্যানে ঢেলে দিন। মশলা কষার সময় লো ফ্লেম থাকলেও মাছ দেওয়ার পর প্রয়োজন বুঝে বাড়িয়ে দিতে পারেন। তবে প্যান থেকে খুন্তি তুলবেন না। ভাল করে নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না গোটা রান্নাই ভাজা ভাজা হয়ে আসছে। সিদ্ধ লোটে যখন মশলার সঙ্গে মিশে ঝুরঝুরে হয়ে আসবে তখন লেবুর রস দিয়ে ফের একবার ভাল করে নেড়ে নিন। এরপর মিনিট দু’য়েক গোটা প্রক্রিয়াটিকে রান্না হতে দিন। দু’মিনিট কাটলেই প্যানের ঢাকনা সরিয়ে দেখুন লোটে ও মশলার যুগলবন্দি মাখামাখি হয়ে অবস্থান করছে। সঙ্গেসঙ্গে পাত্রে থাকা কোচানো লঙ্কা ও লেবুর খোসা রান্নায় ছড়িয়ে দিন। ফের ঢাকনা বন্ধ করে রান্না হতে দিন। এবারও ঘড়ি ধরে সেই দু’মিনিট। সময় পেরোলেই প্লেটে সাজিয়ে সোজা খাবার টেবিলে। চাইলে কাঁচা লঙ্কা ও কুচনো ধনেপাতা গার্নিসের জন্য রাখতে পারেন। এবার জিভে জল আনা লোটের ঝুরো হাজির খাবার টেবিলে।