সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বসন্ত চলে গেছে। চরচর করে চড়ছে পারদ। অফিসে যাওয়ার পথে চোখে উঠেছে রোদচশমা। জল খেতে হচ্ছে ঘনঘন। এমন গরম থেকে বাঁচতে কাছেপিঠে কোথাও বেড়িয়ে আসাই যায়। বাঙালির পছন্দের সেরা ঠিকানা দার্জিলিং। এখন দার্জিলিংকে ঘিরে দু-আড়াই ঘন্টা জার্নির পথে আরও নতুন নতুন কাঞ্চনজঙ্ঘা শোভিত ভ্রমণস্পট তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গরমের ছুটিতে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। তবে ঘোরার অন্য ঠিকানাও তো আছে! তাই নেট ঘেঁটে জায়গা ঠিক করে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়াই ভাল। থাকল অন্যরকম দু’টি জায়গার কথা।
[পর্যটক টানতে জয়চণ্ডী পাহাড়ে গড়ে উঠবে ইকো পার্ক]
চাপড়ামারি:
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যখন চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য, লু বইছে বাতাসে তখনও মন কেমন করা হাওয়া দিচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বক্সা, জলদাপাড়া তো অনেক হল এই গরমে হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল ঘুরে এলে কেমন হয়? ঘুরে আসা যাক ভিন্ন রুটে চাপড়ামারি অভয়ারণ্য থেকে। জলদাপাড়ার সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। এখান থেকেই তিনদিকে তিনটে রাস্তা চলে গিয়েছে। একটা বানেরহাট, অন্যটা বীরপাড়া আর নাক বরাবর হেঁটে গেলেই চাপড়ামারি অভয়ারণ্য। ৯.৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে হাজারও পশুপাখির ডাক পাখিদের কলতান। দুপুরবেলা রেস্ট হাউসে ঘুমোতে গেলে এপ্রিলেও ফুরফুরে হাওয়া ছুঁয়ে যাবে আপনাকে। কলকাতায় যেখানে ছাতা ছাড়া বেরতে পারছেন না, সেখানে চাপড়ামারি জঙ্গলের সবুজ গালিচার দুদিকে পাইন-ফার ছায়াঘেরা এক পথ তৈরি করে রেখেছে। দূরে বাইসনের পাল জল খাবে। আর সবুজ পাতার আড়াল থেকে নাম না জানা পাখি ডেকে যাবে।
কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া অথবা কলকাতা স্টেশন থেকে যেকোনও ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে সরাসরি চাপড়ামারি।
নন্দী হিলস:
বেঙ্গালুরু থেকে একদিনে ঘুরে ফিরে আসা যায়। এই পচা গরমেও পাতলা চাদর গায়ে জড়াতে হবে যে নৈসর্গিক পরিবেশে। যতদূর চোখ যাবে ধূ ধূ করবে পাহাড়ের চূড়া। বাকিটা জানতে হলে বেঙ্গালুরু যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। গাড়িতে বেঙ্গালুরু থেকে একঘণ্টার পথ। মাত্র ৫৫ কিলোমিটারের রাস্তা। কিন্তু হলফ করে বলা যায় সারাজীবন মনে থেকে যাওয়ার মতো দৃশ্য রয়েছে নন্দী হিলসের পরতে পরতে। আরেক কথায় এই পাহাড়কে বলা হয় আনন্দগিরি।
কীভাবে যাবেন?
যেকোনও ট্রেনে বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে গাড়িতে একঘণ্টা। হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার সবচেয়ে ভালো ট্রেন দুরন্ত এক্সপ্রেস। সোম আর বৃহস্পতিবার বাদে সকাল ১১টায় হাওড়া থেকে ছেড়ে যশোবন্তপুর পৌঁছাতে হবে পরদিন বিকেল ৪টেয়।
[এখানে মেঘ গাভির মতো চরে, মন ভাল করতে গন্তব্য নিরিবিলি দাওয়াইপানি]