অরূপ বসাক, জলপাইগুড়ি: জলদাপাড়া ঘোরা। জয়ন্তীর রূপেও আপনার চেনা। চিলাপাতার জঙ্গলেও ঢুঁ মেরেছেন। পৌষের পড়ে পাওয়া লম্বা শীতে বেড়ানোর ইচ্ছে অনেকেই হাতছাড়া করতে চান না। ফের আপনার গন্তব্য যদি হয় ডুয়ার্স, তবে কার্যত এক অচেনা বেড়ানোর স্পটের খোঁজ দিয়েছে টোটো।
[পথের বাঁকে ইতিহাস, ডালিমগড় চেনেন কি?]
চেনা না কি অচেনা
তথাকথিত এই ভার্জিন স্পটের নাম পশ্চিম ডামডিম। ঠিকানা জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমা। আরও ভাল করে বললে নিউ মাল রেল স্টেশন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার। এই মাল স্টেশনে শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায়। ট্রেন থেকে নেমে ভাড়ার গাড়িতে ডামডিমে যেতে বেশিক্ষণ লাগে না।
সব ছেড়ে কেন ডামডিম?
মন ভাল রাখার সব রসদ রয়েছে ডামডিমে। হাত বাড়ালেই চেল নদী। কনকনে শীতে জলে পা ডোবালে কিন্তু মন্দ লাগবে না। ইচ্ছে হলে স্নান সেরে নিতে পারেন। ঠান্ডার সময় নদীতে জল কম এবং শান্ত থাকায় ঝুঁকির কিছু নেই। সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ে নদীর পাড়ে যার একবার দাঁড়িয়েছেন তাঁরা জানান দুনিয়া কেন এত সুন্দর। আর হ্যাঁ চেল নদীতে বিকেলের দিকে জল খেতে আসে হাতি, বাইসন এবং হরিণ। মনে করলে লেন্সবন্দি করতে পারেন, কটেজের জানালায় কিংবা ওয়াচ টাওয়ারে চোখ রাখলে এইসব বন্য জীবজন্তুদের সহজে এখানে দেখার সুযোগ মেলে।
[গড়পঞ্চকোট কথা: যেখানে নাগালে প্রকৃতি, পিছনে ইতিহাস]
থাকা-খাওয়ার কী ব্যবস্থা?
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে। বানানো হয়েছে রাস্তা। গোটা পশ্চিম ডামডিম একদম তৈরি। ফুল এবং বসার জায়গা পার্কের মতো করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে সুন্দর নটি কটেজ। কটেজগুলি মাটি থেকে খানিকটা উঁচুতে। গোটা ডামডিম এক ঝলকে দেখে নেওয়ার জন্য রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ারও।
[ভোরের মতো পড়ন্ত বিকেলেও মোহময়ী, গজলডোবা যেন স্বপ্নের ঠিকানা]
কীভাবে বুকিং, খরচ কত?
ডবল বেডে একটি কটেজের ভাড়া ২০০০ টাকা। খাওয়ার খরচ আলাদা। অন লাইন এবং সরাসরির বুকিং এর ব্যাবস্থাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
[পাহাড়ে একঘেয়েমি? অন্য স্বাদের খোঁজ পেতে চলুন সিটং]
ডামডিমেও সাইট সিয়িং!
ডামডিমে এসে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারতে পারেন। কীভাবে? পর্যটকরা এই নিরিবিলি জায়গা থেকে বেড়াতে যেতে পারেন গরুমাড়ায়। চাপড়ামাড়ি, লাভা বা গজলডোবা এবং জলঢাকাও এখান থেকে বেশি দূর নয়।
ছবি: প্রতিবেদক