সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, অনেক পুণ্য করলে আর ঈশ্বর টানলে তবেই বৈষ্ণদেবীর দর্শন করা যায়। সে পথও যেমন দুর্গম, তেমনই খরচ সাপেক্ষ। কিন্তু আইআরসিটিসি-র দৌলতে এখন অত্যন্ত কম খরচেই অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া বৈষ্ণদেবী মন্দিরে। কীভাবে টিকিট কাটবেন, কোন পথে যাবেন, কোথায় থাকবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আইআরসিটিসি-র ট্যুর প্যাকেজে এখন দেশের নানা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার খরচ অনেকটাই কমে গিয়েছে। যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, সব খরচই তুলনামূলক কম। এবার মাতা বৈষ্ণ রেল ট্যুর প্যাকেজের দৌলতে দিল্লি থেকে সরাসরি ট্রেনে কাটরা পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা। তিনদিনের এই প্যাকেজে শ্রী শক্তি এক্সপ্রেসের এসি থ্রি টিয়ারে রিটার্ন টিকিট কেটে নিতে পারেন। এই রুটের সবচেয়ে পুরনো ট্রেন এই শ্রী শক্তি এক্সপ্রেস। সুতরাং সফর যে সুখের হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিস্তারিত জানা যাবে www.irctc.co.in ওয়েবসাইটে।
জানেন, ট্যুরের খরচ কত? মাত্র ৩,৩৬৫ টাকা খরচ করলেই বৈষ্ণদেবী দর্শন হয়ে যাবে। তবে শর্ত একটাই। অন্তত দুজন যদি আইআরসিটিসি-র এই প্যাকেজ বুক করেন, তবেই এই খরচে ঘোরা সম্ভব। নাহলে, ব্যয় আরেকটু বাড়বে। এবার জেনে নিন কী কী থাকছে এই প্যাকেজে। এসি থ্রি টিয়ারের যাতায়াতের টিকিট, কাটরায় ব্রেকফাস্ট। ব্যাগ রাখার একটি লকারও পাবেন। কাটরা স্টেশনে যাত্রা স্লিপ অ্যাসিসট্যান্ট থাকবে আপনার সহায়তায়। তারপর বানগঙ্গা থেকে যেতে হবে বৈষ্ণদেবী দর্শনে। দু-এক ঘণ্টা বৈষ্ণমাতার মন্দিরে সময় কাটিয়ে ফিরে আসা। এবার জেনে নিন কীভাবে সাজানো হয়েছে প্যাকেজ।
প্রথম দিন: নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্রী শক্তি এক্সপ্রেসে চেপে বসতে হবে।
দ্বিতীয় দিন: ভোর পাঁচটা ১০ মিনিটে কাটরা স্টেশনে পৌঁছনো। একটু ফ্রেশ হয়ে গেস্ট হাউসে পৌঁছে ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়া। তারপর গাড়িতে পৌঁছে যান বানগঙ্গায়। সন্ধেয় সেখান থেকেই দেবীর দর্শন করে গেস্ট হাউসে ফিরুন। সেদিনই চেক আউট করে রাত সোয়া দশটা নাগাদ বেরিয়ে পড়ুন স্টেশনের উদ্দেশে। রাত ১১টা ৫ মিনিটে ছাড়বে শ্রী শক্তি এক্সপ্রেস।
তৃতীয় দিন: সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লি স্টেশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.