সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান মানে ঐতিহ্যের শহর। রাজস্থান মানে ইতিহাসের শহর। এমন শহরে গিয়ে সবজায়গা ঘোরা সম্ভব নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তো হাতে পর্যাপ্ত সময়ও থাকে না। তখন বেছে বেছে কয়েকটা জায়গা ঘুরতে হয়। সেই তালিকায় কিন্তু অবশ্যই রাখুন কয়েকটি কেল্লা। এগুলি না দেখলে রাজস্থান ঘোরা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
[ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, অনলাইন বুকিং শুরু ‘ভোরের আলো’-র ]
আমের কেল্লা, জয়পুর
পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই কেল্লা। এখান থেকে জয়পুরের অনেক জায়গাই দেখা যায়। এর আকারও বিশাল বড়। ঠিক করে এই কেল্লা দেখতে গেলে সকাল থেকে সন্ধে গড়িয়ে যাবে। এর একাধিক প্রবেশপথ রয়েছে। আর প্রতিটিই অসাধারণ। ছাদ সাজানো আয়না দিয়ে। তাতে প্রতিফলিত হয় শহরের বিভিন্ন অংশ। ফলে দেখতেও লাগে অপূর্ব। আর যেটা একেবারেই মিস করা যায় না, তা হল লাইট ও সাউন্ড শো। আমের ফোর্টের এই আলো ও শব্দের খেলা অসাধারণ।
মেহেরগড় কেল্লা
এখানে অনেক হাতা আঁকা ছবি রয়েছে। প্রতিটিতেই কোনও না কোনও হিন্দু পৌরাণিক গল্পে কথা বর্ণিত রয়েছে। ঘরগুলি এখানে আয়না আর উজ্জ্বল রং দিয়ে সাজানো। মেহেরগড় কেল্লার শিল্প, ইতিহাস ও আর্কিটেকচার আপনাকে মুগ্ধ করবে। এক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ কেল্লা দেখতে আপনাকে একটা গোটা দিন ব্যয় করতে হবে। কেল্লার ভিতর চামুন্ডা মন্দির দেখতে ভুলবেন না। এই কেল্লা থেকে যোধপুরের নীল রঙের বিল্ডিংগুলি দেখা যায়।
চিতোর কেল্লা
এটি রাজস্থানের অন্যতম বড় কেল্লা। একসময় এটি মেবারের রাজধানী ছিল। উদয়পুর থেকে সহজেই এই কেল্লায় যাওয়া যায়। যারাই এই কেল্লায় গিয়েছে, তাদের মতে এই কেল্লার কারুকাজ অসাধারণ। বিশেষ করে এর আর্কিটেকচার মন কাড়ে সবার। রাজপুতানার ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছে চিতোর কেল্লা। এখানকার পদ্মিনী প্যালেস ও মীরা টেম্পল অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
[ টয়ট্রেনের দোসর এসি বাস, পর্যটকদের সুবিধায় নয়া ব্যবস্থা পাহাড়ে ]