সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইক-এন্ড মানে তো মেরে-কেটে হাতে থাকে দুটো রাত আর দুটো দিন! শুক্রবারের সন্ধে থেকে রবিবারের সন্ধে। ব্যস! তার পরেই ফের রোজকার জগতে ফেরা!
এই অল্প সময়টায় যদি কোথাও ঢুঁ মারতেই হয়, হাতের কাছে কী কী খুঁজে পাওয়া যাবে?
আদর্শ সপ্তাহান্তযাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে আর যাই হোক, সাগরতটের অভাব নেই। আছে ছোটখাটো অনেক জায়গাই!
সে সব ছেড়ে একটু অরণ্যের নিভৃতির দিকে তাকালে হয় না?
বাঁকুড়ার জয়পুর একটা সংক্ষিপ্ত ছুটি কাটাবার এমনই মনোরম পরিবেশ প্রস্তুত করে রেখেছে। পায়ের তলায় বিছিয়ে দিয়েছে নরম সবুজ গালিচা আর মাথার উপর আকাশছোঁওয়া শাল, সেগুন, টিকের চাঁদোয়া। মাঝে শুধু ছুটির অনাবিল আনন্দ আর আরণ্যক জীবন।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল কতটা রোমাঞ্চকর হবে, এসব ভেবে যদি মন খুঁতখুঁত করে, তবে জয়পুরের দিকে কয়েক ঝলক তাকানো যাক! জয়পুরের জঙ্গল কিন্তু আদপেই ছোটখাটো নয়। এবং, এমন কিছু হালকাও নয়। শাল, সেগুন, টিক, পলাশ, মহুয়া এতটাই ঘন হয়ে ঘিরে রেখেছে জঙ্গলের পরিসরকে যে বেশ কয়েক জায়গায় সূর্যের আলো মাটি ছুঁতে পারে না!
আর আরণ্যকরা? তাদের তালিকায় রয়েছে চিতল হরিণ, খেঁকশিয়াল, হায়না আর হাতি। জঙ্গল সফরে বেরোলে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর থেমে থাকতে হবে। রাস্তা পেরিয়ে যাওয়ার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হরিণের দলকে! হাতির দেখা কপাল ভাল থাকলে মিলবে। আর অন্য পশুদের দর্শনলাভের জন্য জঙ্গলের মাঝেই রয়েছে বিরাট ওয়াচ টাওয়ার! সেখানে ওঠা এবং উপর থেকে পাখির চোখে জঙ্গলকে দেখা- নিঃসন্দেহে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করবে ছুটির আমেজে।
সব চেয়ে ভাল ব্যাপার, সারা দিন ধরে আপনি ঘুরে বেড়াতে পারেন জয়পুরের জঙ্গলে। চাইলে সঙ্গে খাবার আর জল নিয়ে বনভোজনও করতে পারেন। বা, খাওয়া-দাওয়া সারতে পারেন ঘরে ফিরেও।
এবার তাহলে একটু ছুটি কাটাবার পরিকল্পনাটা গুছিয়ে নেওয়া যাক!
কী ভাবে যাবেন: আরণ্যক বা রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর। সেখান থেকে ট্রেকারে চলে আসুন জয়পুরে। কলকাতা থেকে বাসে যেতে চাইলে ধর্মতলা থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে।
কোথায় থাকবেন: থাকার জায়গা একটাই- জয়পুর ফরেস্ট রিসর্ট। আরণ্যক পরিবেশে সবরকম আধুনিক ব্যবস্থা নিয়ে এই রিসর্ট পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি। বাজেট ডবল বেডরুম থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর- সব কিছুই পাওয়া যায় এই রিসর্টে।